Kolkata Medical College, পায়ে পায়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ১৯০

আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৭ জানুয়ারি: ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে কলকাতায় ভারত তথা এশিয়ায় প্রথম আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ স্থাপিত হয়। লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ও সেই সময়ের কলকাতার কিছু উদার মনস্ক মানুষের দীর্ঘ প্রচেষ্টা ও আন্দোলনের ফল এই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ।

১৯৩০ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এক্স স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিইএসএ) গঠিত হয়। গর্বের বিষয়, এই সংগঠনের প্রথম সভাপতি ছিলেন স্যার নীলরতন সরকার। এই বছর থেকেই প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের সঙ্গে সঙ্গে কলেজের প্রাক্তনীদের পুনর্মিলনও শুরু হয়। সেই হিসাবে বিবার ২৮শে জানুয়ারি ২০২৪ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ১৯০তম প্রতিষ্ঠা দিবস ও ৭৯তম
পুনর্মিলন উৎসব শুরু হবে।

মূল উৎসবের প্রাক্বালে ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঐতিহ্য মণ্ডিত কলকাতা টাউন হলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হল। প্রথমে ১৯০ লেখা একটি ফানুস ও ১৯০টি বেলুন আকাশে উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বৃটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার মিঃ অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং, সাংসদ জহর সরকার, সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রেভারেন্ড প্রফেসর ফেলিক্স রাজ, বৃটিশ কাউন্সিলের পূর্ব ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের ডিরেক্টর ডা: দেবাঞ্জন চক্রবর্তী, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী সংগঠনের আহ্বায়ক ডা: অমিত ঘোষ ও সম্পাদক ডা: অভীক ঘোষ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

এমসিইএসএ-র আহ্বায়ক ডা: অমিত ঘোষ বলেন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ একশ নব্বই বছরের বহু ইতিহাসের সাক্ষী। বিভিন্ন সময়ে এই কলেজের ছাত্র ও অধ্যাপক পদ অলংকৃত করেছেন বহু কৃতি চিকিৎসক। জাতীর প্রথম মহিলা চিকিৎসক ডা: কাদম্বিনী গাঙ্গুলি, দেশের প্রথম মহিলা গ্রাজুয়েট চিকিৎসক ডা: বিধুমুখী বসু, স্যার নীল রতন সরকার, ডা: বিধান চন্দ্র রায়ের মতো বিশিষ্ট চিকিৎসকরা এই কলেজেরই ছাত্র ছিলেন।

এই ঐতিহ্যকে স্মরণ করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন, ডা: অমিত ঘোষের স্বাগত ভাষণ ও উপস্থিত অতিথিদের বক্তব্যের পরে একশ নব্বই বছরে মেডিক্যাল কলেজের পথ চলার উপরে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয় ও একটি কফি টেবল বুক প্রকাশ করা হয়।

এর পরে এই ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও স্মৃতিমেদুরতার ওপরে একটি আলোচনা সভায় ডা: অমিত ঘোষের সঞ্চালনায় অংশ গ্রহণ করেন অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং, জহর সরকার, রেভারেন্ড প্রফেসর ফেলিক্স রাজ, ডা: দেবাঞ্জন চক্রবর্তী, ডা: ইন্দ্রজিত সর্দার ও তপতী গুহ ঠাকুরতা। শেষে পণ্ডিত বিক্রম ঘোষের মূর্চ্ছনা ও ইমন চক্রবর্তীর গান দিয়ে অনুষ্ঠানের শেষ হয়।

এমসিইএসএ-র সান্মানিক সেক্রেটারি ডা: অভীক ঘোষ জানান, পরবর্তী তিন দিনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনা সভা, সিএমই ও কর্মশালার মধ্যে দিয়ে উৎসব পালিত হবে। দেশ বিদেশের কৃতি প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী চিকিৎসক ও বিশিষ্ট জনেরা অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *