Parliament, policy, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় পাশ “এক দেশ এক ভোট” নীতি, শীতকালীন অধিবেশনেই বিল আসতে পারে সংসদে

আমাদের ভারত, ১৮ সেপ্টেম্বর: এক দেশ এক ভোট নীতি কার্যকর করার পথে আরও এক ধাপ অগ্রসর হল তৃতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এক দেশ এক ভোট নীতি কার্যকরের লক্ষ্যে রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ পাস হয়েছে। এর ফলে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এই নীতি কার্যকর করার লক্ষ্যে কেন্দ্রে বিল পাশে সক্রিয় হবে সরকার বলে মনে করা হচ্ছে।

এক দেশ এক ভোট কার্যকর করার ক্ষেত্রে দিক নির্দেশিকা খুঁজতে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটি করেছিল মোদী সরকার। লোকসভা ভোটের আগেই গত ১৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে গিয়ে একসঙ্গে লোকসভা ও সবকটি বিধানসভা নির্বাচন করানোর সুপারিশ করে আট খন্ডে বিভক্ত ১৮ হাজার পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছিল কোবিন্দ কমিটি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে বলেন, বিভিন্ন মঞ্চে আলোচনার পর এই কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট অনুমোদনে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার ইঙ্গিত, সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি পেশ করা হতে পারে।

তৃণমূলের তরফে বুধবার মোদী মন্ত্রীসভার এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়েছে। তাদের দাবি, এক দেশ এক ভোট আসলে বিজেপির একটি গণতন্ত্র বিরোধী গিমিক। তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস বিরোধী দলগুলি গোড়া থেকে এই পদ্ধতির সমালোচনায় মুখর। তাদের মতে এই নীতির মাধ্যমে মোদী সরকার আসলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ধাঁচে ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থী এই পদ্ধতি। বিজেপি বিরোধী একাধিক আঞ্চলিক দলের আশঙ্কা, এক দেশ এক নীতি ভোট কার্যকর হলে লোকসভার আঁচ এসে পড়বে বিধানসভা গুলিতেও। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সংসদ ও বিধায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেটুকু বৈচিত্রের সম্ভাবনা রয়েছে তাও ভেঙে পড়বে।

যদিও এই নীতি কার্যকরের ক্ষেত্রে বিজেপির যুক্তি, এতে নির্বাচনের খরচ কমবে। একটি ভোটার তালিকাতে দুটি নির্বাচন হওয়ায় সরকারি কর্মীদের তালিকা তৈরি কাজের চাপ কমবে। ভোটের আদর্শ আচরণ বিধির জন্য বারবার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ থমকে থাকবে না। নীতি আয়োগ, আইন কমিশন, নির্বাচন কমিশন এই ভাবনাকে নীতিগত সমর্থন জানিয়েছে বলে কেন্দ্রের মত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *