আমাদের ভারত, ২৯ এপ্রিল: অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে একদিকে দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী যখন জগন্নাথের বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠায় অংশ নেবেন অন্যদিকে তখন রাজ্যের আরেক প্রান্তে ভাঙ্গা মন্দির পুনঃ প্রতিষ্ঠায় শামিল হবেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
ধুলিয়ানের ঘোষপাড়ায় একটি মন্দির মেরামতের পর পুনঃ প্রতিষ্ঠার আয়োজন করা হচ্ছে। বিজেপির জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছেন, মেরামতির পর মন্দিরটি ধুয়ে মুছে সেখানে পুজোর আয়োজন হবে। মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং পুজোয় অংশ নেবেন সুকান্ত মজুমদার বলে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে। এর আগে ২১ এপ্রিল সুকান্ত মজুমদার মুর্শিদাবাদের অশান্তি কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। ধুলিয়ান তথা সামসেরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা তিনি ঘুরে দেখেন। অশান্তির সময় বেশ কিছু মন্দির আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সুকান্ত মজুমদার সেই সবটা ঘুরে দেখার পর জানিয়েছিলেন, ওইসব মন্দির মেরামতির পর দ্রুত নতুন করে উদ্বোধনের ব্যবস্থা করা হবে। সময় পেলে তিনি সেখানে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন।
এবার সেই মন্দির পুনঃ প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি মমতার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিনেই হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই জগন্নাথ ধাম উদ্বোধনের কর্মসূচিতে যোগ দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় পৌঁছে গেছেন। অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের আক্রান্ত মন্দির মেরামত করে পুনঃ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে থাকবেন। অর্থাৎ অক্ষয় তৃতীয়ার দিন রাজ্যের দুই প্রান্তে মন্দির প্রতিষ্ঠার কর্মসূচিতে থাকবেন রাজ্যের দুই যুযুদান দলের নেতারা।
সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, ধুলিয়ান, সামসেরগঞ্জে তিনি যেদিন গিয়েছিলেন সেদিনই বলেছিলেন, সময় পেলে মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তিনি থাকবেন। সেই অনুযায়ী তিনি সেখানে যাচ্ছেন।
তবে মমতার জগন্নাথ মন্দিরের কর্মসূচির পাল্টায় শুভেন্দু অধিকারী কাঁথিতে হিন্দু সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন। তাকে আটকাতে রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে মামলা হলেও তা ধোপে টেকেনি। আদালত শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি করার পক্ষেই রায় দিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী এই কর্মসূচিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। কারণ শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, জগন্নাথ ধামে যারা যাবেন তারা জালি হিন্দু, যারা সনাতনী সমাবেশে আসবেন তারা আসলে হিন্দু।