Modi, Army, পেহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে তিন সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা মোদীর, প্রত্যাঘাত কি তাহলে খুব তাড়াতাড়ি?

আমাদের ভারত, ২৯ এপ্রিল: পেহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নিতে তিন সামরিক বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার নিজ বাসভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান সহ তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, যে যখন খুশি, যেখানে খুশি পেহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে পারে।

ভারতীয় সেনা, ভারতীয় বায়ুসেনা ও ভারতীয় নৌ- সেনার তরফে কীভাবে হামলা চালানো হবে কীভাবে পরিকল্পনা করা হবে সে সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো বাহিনীর হাত পা বেঁধে রাখা হবে না। যেমন মনে হবে সে রকম ভাবে অ্যাকশন নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অ্যাকশন নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী তিন বাহিনীর উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন।

পিটিআই- এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সেনা জেনারেল উপেন্দ্র দ্বীবেদি, ভারতীয় বায়ু সেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ইপি সিং এবং ভারতীয় নৌ- সেনার প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠীর সামনেই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে, কিভাবে সে পদক্ষেপ করা হবে, টার্গেট কী হবে এবং কখন অ্যাকশান নেওয়া হবে তা নির্ধারণ করার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে।”

প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যেদিন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে তার ঠিক এক সপ্তাহ আগে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলেগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন হিন্দু পর্যটক। জঙ্গি হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর- ই- তৈবার ছায়া সংগঠন রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট ছিল বলে অভিযোগ। তারপর থেকেই কূটনৈতিক ভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। এছাড়াও নেওয়া হয়েছে আরও একাধিক পদক্ষেপ যা পাকিস্তানের জনজীবন ও অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। এদিকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় উপত্যকাজুড়ে চলছে জঙ্গি নিধন। পেহেলগাঁও হামলায় যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের খোঁজ চলছে। কিন্তু আজ প্রধানমন্ত্রীর তরফে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার পর প্রত্যাঘাতের রাস্তা‌ আরো প্রশস্ত হয়ে গেল। এবার কী তাহলে কেবল সময়ের অপেক্ষা? পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখলই কি লক্ষ্য?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *