পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ১৪ জানুয়ারি: মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তির দিন লালগড়ের নেতাই গ্রামে গিয়ে শহিদ পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ে শহিদ দিবসে তিনি আসতে পারেননি। মঙ্গলবার বেলা চারটে নাগাদ নেতাই পৌঁছতেই জনতার ঢল নামে। গ্রামবাসীদের নিয়ে শহিদ বেদীতে মাল্যদান করেন। সেখানে নেতাই গণহত্যা কাণ্ডে আহত ২৮ এবং নিহত ৬ জনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। ৭ জানুয়ারি নেতাই দিবসের দিন তাঁকে শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানানোর অনুমতি না দেওয়ায় পুলিশের তীব্র সমালোচনা করেন।
নেতাই দিবসের দিন তৃণমূল সেখানে অনুষ্ঠান করেছিল। সেই অনুষ্ঠানে শহিদ পরিবারের লোকজন অনেকেই যাননি। তৃণমূলের নেতা ছত্রধর মাহাতো এবং জয়প্রকাশ মজুমদার সভায় বক্তব্য রেখেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী তাদের সমালোচনা করে বলেন, গণহত্যা কাণ্ডের সময় আক্রান্ত পরিবারগুলির পাশে যখন দাঁড়ানোর খুব প্রয়োজন ছিল তখন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জনতার ভিড় ঠেলে এদিন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে বেশ কিছু মহিলা সরকারি বাড়ি এবং পানীয় জলের নলকূপ দাবি করেন। শুভেন্দু অধিকারী তাদের বলেন, তিনি তো সরকারি বাড়ি দিতে পারেন না। এগুলো পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সরকার করে থাকে। তবে গ্রামবাসীদের দাবি মতো গ্রামে পানীয় জলের একটি গভীর নলকূপ বসানোর আশ্বাস দেন শুভেন্দু অধিকারী।
সভামঞ্চে প্রতি বছরের মতো এবারও আহত ও নিহতদের পরিবারগুলির হাতে সাম্মানিক তুলে দেন তিনি। এরপর সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে মালদায় তৃণমূল নেতা খুন প্রসঙ্গে পুলিশকে দোষারোপ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এলাকাতেই দুষ্কৃতীরা ছিল। তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার জন্য পুলিশ ও পুলিশ মন্ত্রীই দায়ী। শাসক দলের নেতাদের মদতেই তাদের নেতারা খুন হয়ে যাচ্ছেন।