আমাদের ভারত, ১৫ জানুয়ারি: ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেছেন, রাম মন্দির নির্মাণের দিবনই ভারত তার প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তাঁর মতে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার তারিখটি প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী হিসেবে উদযাপন করা উচিত।
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, ইন্দোরে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক সম্পদ রাইকে দেবী অহল্যা পুরস্কার প্রদানের জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তিনি ভারতের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটিশদের কাছ থেকে ভারত রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ করে। এরপর ভারত নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখানো পথ অনুসারে এগিয়েছে। তাঁর মতে যে লিখিত সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল তা দেশের নিজস্বতার থেকে অনেকটাই আলাদা। কিন্তু সেই সময় দৃষ্টিভঙ্গি চেতনা অনুসারে দলিলটি পরিচালিত হয়নি। তাঁর কথায়, সেই সময় ভারত স্বাধীন হলেও ভারতবর্ষের স্বপ্ন সার্থক হয়েছিল এমনটা বলা যায় না। ভারতবাসীর স্বপ্ন সার্থক হয়েছে রাম মন্দির নির্মাণের পর।
তিনি আরো বলেছেন, ভারতে আক্রমণকারীরাই দেশের মন্দির ভেঙ্গেছিল। কারণ তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতের নিজস্ব ভাবনা বা আদর্শকে ধ্বংস করে দেওয়া। রাম মন্দির আন্দোলন কারোর প্রতি বিরোধিতা বা বিদ্বেষ তৈরীর জন্য করা হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। ভাগবত বলেন, ভারতের নিজস্বতা ফিরিয়ে আনতে রাম মন্দির আন্দোলন শুরু করা হয়েছিল, যাতে ভারত নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বিশ্বকে পথ দেখাতে পারে।
ভাগবত বলেন, রাম মন্দির আন্দোলনের দিনটা প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী হিসেবে উদযাপন করা উচিত। কারণ এই দিনটি প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। বহু শতাব্দী ধরে বহু শত্রুর আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে ভারত। তিনি আরো বলেন, আগেই দিনটিকে বলা হতো বৈকুণ্ঠ দ্বাদশী। তবে এবার থেকে এই দিনটিকে প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী বলা উচিত। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল পৌষ মাসের শুক্লো পক্ষের দ্বাদশীতে। ইংরেজি ক্যালেন্ডারে তারিখটি ছিল ২২ জানুয়ারি ২০২৪। এবছর শুক্লোপক্ষ দ্বাদশী পড়েছিল ১১ জানুয়ারি।
এই ইস্যুতে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, ভাগবত যে মন্তব্য করেছেন তা শুধু স্বাধীনতার অপমান নয়, রাষ্ট্রদ্রোহী মন্তব্য। অবিলম্বে তাঁকে গ্রেফতার করা উচিত। তিনি বলেন, ভাগবতের দাবি অনুযায়ী এই সংবিধান অবৈধ। ইংরেজদের বিরুদ্ধে যে লড়াই হয়েছিল তা অবৈধ। ভারত ছাড়া অন্য কোনো দেশে এই ধরনের মন্তব্য করা হলে এতক্ষণে তাকে গ্রেফতার করে নেওয়া হতো। তাঁর দাবি, ভাগবত যে মন্তব্য করেছেন তা আপামর ভারতবাসীর অপমান। সময়ে এসেছে এই ধরনের চিন্তাধারার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের।