পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৩১ মার্চ: অভয়ার ন্যায়বিচার, জেলায় সাম্প্রদায়িক সুস্থিতি বজায়, কোতোয়ালি থানায় আন্দোলনকারী গবেষক ছাত্রীদের উপর পুলিশি নির্মম অত্যাচারের বিচারের দাবি সহ কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম সুনিশ্চিত, জেলার বন্যা প্রতিরোধ ও জলনিকাশি সমস্যার স্থায়ী সমাধান, আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য চালু, প্রিপেড স্মার্ট মিটার বসানো বন্ধ, রাজস্ব বৃদ্ধির অজুহাতে কোথাও নুতন করে মদের দোকান চালু না করা, জেলার গেটওয়ে মেচেদা সহ প্রতিটি বাসরুটে রাত ১০টা পর্যন্ত শেষ বাস চালু ও বাসের ভাড়া সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা টাঙিয়ে ওই ভাড়ার বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া বন্ধ, পান-ফুল-লঙ্কা সহ সমস্ত কৃষিপণ্য সংরক্ষণে জেলায় সরকারি উদ্যোগে বহুমুখী হিমঘর এবং গবেষণাগার নির্মাণ, মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্বভবন নির্মাণ করে পূর্ণাঙ্গ রূপ প্রদান, জেলায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-আইন ও আর্ট কলেজ স্থাপন প্রভৃতি দাবিতে ৩ এপ্রিল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক দপ্তরে আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দিল এসইউসিআই (কমিউনিস্ট)।
আজ এ বিষয়ে তমলুকের রাজাবাজার দলীয় অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা ঘোষণা করেন দলের পূর্ব মেদিনীপুর দক্ষিণ ও উত্তর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সম্পাদক অশোক তরু প্রধান ও প্রণব মাইতি। এছাড়াও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের দুই সাংগঠনিক জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য উৎপল প্রধান, সুব্রত দাস, নারায়ণ চন্দ্র নায়ক, মধুসূদন বেরা, জ্ঞানানন্দ রায়, শীলা দাস, সুজিত মাইতি প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ জানান, ওই কর্মসূচির প্রস্তুতিতে ইতিমধ্যে জেলার তমলুক, কাঁথি, এগরা, মেছেদা, পাঁশকুড়া, হলদিয়া, ময়না, নিমতৌড়ী প্রভৃতি স্থানে পথসভা বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত হচ্ছে। অন্যান্য দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হলো জুনপুটে মিসাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র বন্ধ সহ হরিপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল, হলদিয়া- নন্দীগ্রাম- তেরপেখ্যা- ট্যাংরাখালি- পুরষাঘাট সহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে নদীর উপর কংক্রিটের ব্রিজ, পাঁশকুড়া-তমলুকের ধারিন্দা-মাণিকতলা ও তালপুকুরে রেল লাইনের উপর ফ্লাইওভার নির্মাণ ও ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের দেউলিয়া এবং ১১৬বি জাতীয় সড়কে মহাশ্বেতা সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্রসিং-এ ফ্লাইওভার অথবা আন্ডারপাস নির্মাণ প্রভৃতি।
অশোকবাবু ও প্রণববাবু অভিযোগ করে বলেন, জেলার সার্বিক উন্নয়নে উপরোক্ত দাবিগুলি জেলা প্রশাসনকে আমরা বার বার জানালেও ওই দাবিগুলি পূরণে জেলা প্রশাসন এখনো পর্যন্ত তেমন কোন সদর্থক ভূমিকা পালন করেননি। তাই উপরোক্ত গুরুত্বপূর্ণ দাবিতে আমরা ৩ এপ্রিল আইন অমান্য কর্মসূচির ডাক দিতে বাধ্য হয়েছি।