আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৫ মার্চ: ভাগ্নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাবধানে চলফেরা করার উপদেশ দিলেন মামা অনিল মুখোপাধ্যায়। দিদির সুস্থতা কামনা করে মা তারার কাছে পুজো দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামাতো ভ্রাতৃবধূ পম্পা মুখোপাধ্যায়ও। তৃণমূল সুপ্রিমোর বারবার দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামা অনিল মুখোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
বীরভূমের রামপুরহাটের কুশুম্বা গ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার বাড়ি। মুখ্যমন্ত্রী ছেলেবেলায় অনেকটা সময় কাটিয়েছেন মামার বাড়িতে। কালিঘাটের বাসিন্দা হওয়ার পরও অহরহ মামার বাড়িতে বেড়াতে আসতেন তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় পরেও তিনি কুশুম্বা গ্রামে মামার বাড়িতে এসেছেন। বৃহস্পতিবার কালীঘাটের নিজের বাড়িতে পড়ে গিয়ে কপালে ও নাকে গুরুতর আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী। সেই খবর জানতে পাওয়ার পর থেকেই উদ্বেগে কুশুম্বা গ্রামে তাঁর মামা ও পরিবারের অন্যরা। ভাগ্নির শারীরিক পরিস্থিতির খবর জানতে সকাল থেকেই টিভির পর্দায় চোখ রেখে বসে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামা অনিল মুখোপাধ্যায়। বারবার তাঁর দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় চিন্তিত তিনি। ৮৫ বছর বয়সী অনিল মুখোপাধ্যায় ভাগ্নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাবধানে চলাফেরা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার বাড়ির কুলদেবতা রক্ষাকালী এবং তারাপীঠ মন্দিরে মা তারাকে পুজো দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুস্থতা কামনা করছেন তাঁর মামাতো ভাইয়ের বউ পম্পা মুখোপাধ্যায়ও।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় কালীঘাটের বাড়িতে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কপাল ফেটে রক্ত বেরতে শুরু করে। সেই সময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতেই ছিলেন। তিনিই আহত মুখ্যমন্ত্রীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে সাময়িকভাবে মুখ্যমন্ত্রী অচৈতন্য অবস্থায় ছিলেন।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জ্ঞান ফিরে আসার পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সে। সেখানেও সঙ্গে ছিলেন অভিষেক। পরে ফের তাঁকে বাড়িতেই ফিরিয়ে আনা হয়। আপাতত বাড়িতেই চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।
এদিকে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সুস্থতা কামনায় তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী।
নলাটেশ্বরী মন্দিরেও পুজোর ব্যবস্থা করা হয়। চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বার বার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। আমরা এনিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা মা তারার পুজো দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করলাম”।