পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ এপ্রিল: বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসে পৃথিবীর ক্রীড়া প্রেমী মানুষদের একটি অভিনব ও আকর্ষণীয় খেলা উপহার দিল শহর কলকাতা। “বেঙ্গল ব্যাডমিন্টন লাভার্স অ্যাকাডেমি” এবং “সনাতন ভারত চেস ক্লাবের” যৌথ উদ্যোগে চেস বা দাবা এবং ব্যাডমিন্টন এই দুটি বিশ্বখ্যাত জনপ্রিয় খেলার মেলবন্ধন ঘটিয়ে “চেসমিন্টন” (CHESSMINTON) নামে নতুন একটি হাইব্রিড বা কনসেপ্ট গেম পৃথিবীতে প্রবর্তন করা হলো।
বেঙ্গল ব্যাডমিন্টন লাভার্স অ্যাকাডেমির প্রেসিডেন্ট ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য, দাবা এবং ব্যাডমিন্টন এই দুই বিশ্ববিখ্যাত খেলাকে এক বিন্দুতে এনে আমাদের সৃষ্টি অভিনব এই চেসমিন্টন খেলা একদিকে যেমন একজন খেলোয়াড় বা শিক্ষার্থীকে মানসিক দৃঢ়তা প্রদান করবে আবার তাকে শারীরিক ভাবেও ফিট ও শক্তিশালী করে তুলবে। আজকের পৃথিবীতে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এগিয়ে যেতে চাইলে শারীরিক ও মানসিক দুই ক্ষেত্রেই সমান পারদর্শিতা প্রয়োজন যা একসঙ্গে একমাত্র চেসমিন্টন খেলা থেকে অর্জন করা সম্ভব । চন্দ্রচূড়বাবু আরো বলেন, আগামী দিনে প্রেসমিট করে খুব তাড়াতাড়ি আমরা এই অভিনব চেসমিন্টন খেলাটির লোগো এবং বিধি- নিয়ম আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করতে চলেছি। এরপর খুব তাড়াতাড়ি আমরা রাজ্যস্তরে ও সর্বভারতীয় স্তরে প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট আয়োজন করবো এবং আইপিএল- এর অনুকরণে আগামী দিনে “চেসমিন্টন প্রিমিয়ার লিগ” আয়োজন করা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হতে চলেছে।
ব্যাডমিন্টন লাভার্স অ্যাকাডেমির কনভেনর সুস্নাত বিশ্বাস বলেন, হাইব্রিড গেমের ধারণা অনেক আগে থেকেই আছে। এই মুহূর্তে চেসবক্সিং নামে একটি হাইব্রিড গেম প্রচলিত আছে। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস আগামী দিনে পৃথিবীতে “চেসমিন্টন” খেলাটি যে কোনো খেলার চেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।
মঞ্চের প্রতিনিধি অনামিকা মন্ডল বলেন, খেলাটির অভিনবত্বের আকর্ষণেই ক্রীড়াজগৎ ছাড়াও অন্য জগতের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের মধ্যে চিত্রশিল্পী ডক্টর সুরথ চক্রবর্তী, সঙ্গীত শিল্পী পন্ডিত সুভাষ সিংহ রায়, বিশিষ্ট মডেল শর্মিষ্ঠা রায় চৌধুরী এবং আরো অনেকে উপস্থিত হয়েছেন। আগামী দিনে আত্মপ্রকাশ করতে চলা চেসমিন্টনের বিশ্ব সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী ও সুস্নাত বিশ্বাস ছাড়াও সিমন্তিনি বিশ্বাস, অরূপ কুমার রায়, বিশাল চৌধুরী, ডক্টর সৌমিত্রা দাস, ডক্টর অভিষেক লাঠ, অনামিকা মন্ডল এবং বিশিষ্ট ব্যাডমিন্টন কোচ তাপস বিশ্বাস সহ আরো অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আজ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে ভারতবর্ষ “চেসমিন্টন” নামে যে অভিনব কনসেপ্ট গেম সংযোজন করলো সেটি নিশ্চই আগামী দিনে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করবে বলে ক্রীড়ামহলের বিশ্বাস।