আমাদের ভারত, ৪ জানুয়ারি: শুক্রবার রাতে বিদ্যাসাগর সেতুতে রাজ্যের দুই যুযুধান দলের দুই ওজনদার জনপ্রতিনিধির দ্বৈরথ ঘিরে প্রবল প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে নেটনাগরিকদের মধ্যে। বচসা থেকে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ হয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে।
বচসার জেরে ভিড় জমে যায়। তৈরি হয় যানজট। পুলিশ এসে দু’পক্ষককে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। ভিডিওতে দেখা যায়, বাবুল ক্রমাগত প্রশ্ন করছেন, কেন তাঁকে ‘শুয়োরের বাচ্চা’ বলা হল?
প্রতিক্রিয়ায় সঞ্জয় মেহরা লিখেছেন, “যারা দল বদলু তাদেরকে যদি কোনো কমেন্ট করে এর পেছনে খারাপ কিছু দেখতে পাওয়া যাচ্ছে কি?” অভিজিৎ চ্যাটার্জি লিখেছেন, “আবুলের জন্য সঠিক খিস্তিটাই ব্যবহার করা হয়েছে।” আশিস দে লিখেছেন, “কারণটা কী সেটাই তো বোঝা যাচ্ছে না, তবে ওরা মুসলিম সরকার চালাচ্ছে তাই বাবুলের একটু রংবাজি থাকবেই।”
মনোজ মুখার্জি লিখেছেন, “বাবুলকে এখন গাড়ি আটকে তোলাবাজি করতে হচ্ছে। কী অবস্থা হলো? রাষ্ট্র সর্বোপরি নামধারী একজন লিখেছেন, “বেগমকে খুশি করতে কি না করতে হয়!” লক্ষ্মণ শেঠ লিখেছেন, “রাগ তো হবেই! এটা সংঘঠিত রাগের বহিঃপ্রকাশ,,, আগামী দু’ এক দিনের মধ্যেই বাবুল টুথপেস্ট বাজারে হু হু করে চলবে। ওনার মতো মানুষ বিচারকের আসন ছেড়ে ভেবেছিলেন সমাজ ব্যবস্থাকে দুর্নীতির হাত থেকে রক্ষা করবার, কিন্তু সেটা কি হয়? কারণ ওনাদের মতো প্রতিবাদী মানুষ আজ সংখ্যালঘু।”
সায়ন কুমার লিখেছেন, “গাড়ি অ্যাটাক করেই তো কোটি কোটি আয়। এটা এই পার্টির অভ্যাস।” কাঞ্চন ভট্টাচার্য লিখেছেন, “পূর্ব পরিকল্পিত বাবুলগামের।” পৃথা বসু লিখেছেন, “বাবুল সুপ্রিয়র প্রতি ঘৃনা উগড়ে দিলাম এই প্রথম। দু’বছর ধরে কিন্তু ছিল। এখন নিশ্চিত হলাম ঘৃণা করার মত ব্যক্তিত্ব বহন করা শুরু করে দিয়েছেন উনিও।
শুভঙ্কর দে লিখেছেন, “টালির চালার টোলে নং বাড়ানোর কতরকম পন্থা!” অর্ণব ঘোষ লিখেছেন, “বাবুল তো বরাহনন্দন এতে তো কোনো সন্দেহ নেই, ভুল তো বলেননি কিছু। আজ এনার গাড়ি দাঁড় করিয়ে অপদস্ত করছে, আগামী দিনে বাবুলকে দাঁড় করিয়ে উত্তম মধ্যেম জনগণ দেবেন।” তাপস ভৌমিক লিখেছেন, “এতদিন পর বাবুলদা-কে মানিয়েছে, গান ছেড়ে দাদাগিরিটা ভালো করে শিখেছে।”
পরমেশ্বর বেরা লিখেছেন, “এইসব করে হেডলাইনে আসা যায়, হেডকোয়ার্টারে নয়”। সাগর বেরা লিখেছেন, “বাবুল এখন পেস্ট বাবুল, ওর শুধু ফাঁকা আওয়াজ।”
প্রজ্ঞাজিৎ মণ্ডল লিখেছেন, “এটা করতেই দল পরিবর্তন….”। শুভজিৎ গিরি লিখেছেন, “২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে, নিজের কেন্দ্রে ভোট প্রচারের সময়, এই বাবুল সুপ্রিয় টালিগঞ্জে নিজের দলের এক যুবক ছেলেকে, আচমকাই গালিগালাজ করে চড়, থাপ্পড় মেরেছিল!” মলয় কুমার লিখেছেন, “যে যেমন তাকে তেমনটাই বলা হয়েছে। আবাল বাবাল এর জন্য ঠিকই আছে। তোলাবাজির স্টাইলকে আবালকে বেশ মানিয়েছে।”
ভিম চৌধুরী লিখেছেন, “দেখুন এই চলছে রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা, অন্যায় দূর্বৃত্তামী কতটা করতে পারা যায়, যত গুন্ডামি তত ক্ষমতা। সৌমেন ব্যানার্জি লিখেছেন, “এ একটা মাতাল, কেউ পাত্তা দেয় না, তাই একটু টিআরপি নিচ্ছে”।