Teacher, High Court শিক্ষকদের চাকরি, রাজ্যের শাসক দল এবং দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধেই সরব নেটনাগরিকরা

অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৩ এপ্রিল : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি সোমবার বাতিল করেছে হাইকোর্ট। বলাই বাহুল্য, লোকসভা ভোটের মধ্যেই বড় ধাক্কা রাজ্যের। ‘গোপন’ টেন্ডার-OMR নষ্ট-প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণের পরেও কাউন্সেলিং-সহ হাইকোর্টের রায়ে ১৭ পন্থার দুর্নীতির পর্দাফাঁস করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শাসক দল এবং দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন নেটনাগরিকরা।

সাংবাদিক জয়ন্ত চৌধুরী ফেসবুকে একটি পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় লিখেছে, “ব্যাপক, মারাত্বক। সরকারের আমলা, মন্ত্রী , শাসক দলের কেষ্ট বিষ্টুরা জড়িত। খুনে মাফিয়ারা জড়িত। কিন্তু রাষ্ট্রীয় অপরাধমূলক কারচুপি নয়। মন্ত্রিসভা বৈঠক করে অবৈধদের বৈধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। যারা যোগ্য তাদের তালিকা এস এস সি আদালতে জমা না দিয়ে, এখন মরাকান্না জুড়েছে। আর আইনি বিষয় আমার তাতে জ্ঞান দেওয়া সাজে না। সবথেকে বড় কথা, এতবড় কারচুপি আদালতের চাপে পড়ে এস এস সি স্বীকার করলেও নিজেরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে একটিও এফ আই আর করেনি কেন ?

অথচ, মনু সিংভি, সিববল, মুকুল রোহতগীর মতো আইনজীবীদের পিছনে করদাতাদের অর্থ ঢেলেছে শুধু মামলা বানচাল করতে।
এর দায় কার?”

সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলর সুব্রত দাশগুপ্ত (পদ্ম) লিখেছে, “যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন তারা তো অপরাধ করেইছিলেন , কিন্তু এখন কি করবেন? আপনাদের বর্তমান ভবিষ্যৎ সব শেষ হলো| এবার, যাদের টাকা দিয়েছিলেন তাদের কলার ধরে টানতে টানতে রাস্তায় নামিয়ে এনে সর্বসমক্ষে টাকা ফেরত দেওয়ানোর ব্যবস্থা করুন|”

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের প্রাক্তনী শর্মিষ্ঠা বসু ব্যানার্জি লিখেছেন, “একদম ঠিক, এঁদের উচিত যাকে যাকে টাকা দিয়েছে, সব্বার বাড়ি গিয়ে টাকা ফেরত চাওয়া।”

সুব্রত বসুরায় লিখেছেন, “যারা ঘুষ দিয়ে চাকরিতে অযোগ্য হয়েও যোগ্যদের বঞ্চিত করেছেন এবং যারা তাতে মদত করেছেন ঘুষ নিয়ে সবাই কেন আইনআনুগ সাজা পাবে না?” অসীমাভ বড়ুয়া চৌধুরী লিখেছেন, “সঠিক ভাবে কি কেউ চাকরি পায়নি! পুরো প্যানেলটাই ভুয়ো! কেউ ঠিকভাবে পেলে তাদেরও চাকরি যাবে? ঘুষ দেওয়া আর নেওয়া দুটোই অন্যায়। যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়ে ছিল তারা দল বেঁধে ঘুষ খোড়দের ধরুক যদি টাকা ফেরত পায়।

কস্তুরী গৌতম লিখেছেন, “যারা ঘুষ দেয়নি, যোগ্যতার সঙ্গে পেয়েছিল‌ তাদের জন্য খুবই খারাপ লাগছে।” প্রতিক্রিয়ায় সুব্রত দাশগুপ্ত
লিখেছেন, “OMR sheet revaluation হবে, তাঁরা চাকরি ফিরে পাবে, রায়ের মধ্যেই সেই অপশন আছে।”

প্রাক্তন অধ্যাপক শুভেন্দু মজুমদার লিখেছেন, “যে তেইশ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পাঁচশো টাকা করে ফর্ম কিনে পরীক্ষা দিয়েছিল তাঁদের প্রত্যেককে পাঁচশো টাকা করে সুদসহ ফেরৎ দেওয়া উচিত। কারণ পুরো পরীক্ষাটাই ছিল ফেক।

তিরিশ লক্ষ পরীক্ষার্থী বাবদ 150 কোটি টাকা রোজগার করেছে এস এস সি। এই টাকা 12℅ সুদসহ পরীক্ষার্থীদের আগে ফেরৎ দিক এস এস সি।” একটি মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, “এই ঘাটের মরাগুলোকে জনগণের টাকায় বাঁচিয়ে রাখার কি দরকার?”

সুব্রত ভট্টাচার্য একটি মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, “মনে হয় যাবে? এ হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কাটমানির বাংলা। এত তাড়াতাড়ি যাবে? আগে সব ঘরের বউদের পিঠে বানানোর ডাক পড়ুক, তবে ভাবা যেতে পারে। নিশ্চিত নয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *