Sukant Majumder, Hindu, Madrasha, পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসার নথি দেখিয়ে হিন্দু সেজে গ্রেফতার মুসলিম যুবক, ঘটনায় সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন দিদি কি রাজ্যের জনবিন্যাস বদলে ফেলতে চান?

আমাদের ভারত, ২৩ জুন: পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা থেকে দেওয়া ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে হিন্দু নাম ব্যবহারের অভিযোগে এক বাংলাদেশি মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করেছে সুরাট পুলিশ। রবিবার এই তথ্য তুলে ধরে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন গুজরাটে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি। গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পোস্টকে উদ্ধৃত করে এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও উত্তর-পূর্ব বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে রাজ্যের জনবিন্যাস পরিবর্তন করে দিতে চান?

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি লিখেছেন, গুজরাট পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এই বড় ঘটনার পর্দা ফাঁস করেছে।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাহায্য প্রাপ্ত একটি মাদ্রাসা থেকে দেওয়া ভুয়ো শংসাপত্রের সাহায্যে এক বাংলাদেশি মুসলিম যুবক নিজেকে হিন্দু হিসেবে পরিচয় দিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটি দেশের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক। অথচ গত বাজেটে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার মাদ্রাসাগুলির জন্য ৫৫৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

গুজরাট পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম হেমায়েত সর্দার। তার কাছ থেকে বাংলাদেশ জাতীয় পরিচয় পত্র ও স্কুলের নথি উদ্ধার হয়েছে। ধৃত নিজেকে শুভ দাস বলে পরিচয় দিত ও নদীয়ার চাকদার বাসিন্দা বলে দাবি করেছিল।

এই পোস্টটি উদ্বৃত্ত করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, চিন্তার বিষয়। পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসাগুলিকে বাংলাদেশি মুসলিমদের হিন্দু নামের পরিচয় পত্র তৈরি জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য ৫৫৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করায় প্রশ্ন উঠছে। তাহলে এই ষড়যন্ত্রে কি পশ্চিমবঙ্গ সরকার যুক্ত? দিদি কি বাংলাদেশিদের ব্যবহার করে রাজ্যের জনবিন্যাস বদলে ফেলতে চান?

গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা খাতে রাজ্য সরকারের বিপুল বাজেট বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। এই প্রশ্ন শনিবারেই তুলেছিলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি বলেছিলেন, মুসলিমদের প্রকৃত উন্নয়নের বদলে তোষণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুসলিম দুষ্কৃতিদের হাতে ঘুর পথে টাকা তুলে দিয়ে ভোট কিনে ক্ষমতায় থাকতে চান তিনি। এরপর রবিবারেই এই বিস্ফোরক ঘটনা সামনে এলো।

এদিকে হর্ষ সাংভির পোস্টটি উদ্ধৃত করে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকিব গোখলে লিখেছেন শংসাপত্রটি ২০১০ সালে জারি করা, তৃণমূল তখন আসেনি। ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *