আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২২ জুন: রেলের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামলেন রেল বস্তির বাসিন্দারা। আন্দোলনে সামিল হলেন রেলের জমিতে অস্থায়ীভাবে থাকা ব্যবসায়ীরা। উচ্ছেদের প্রতিবাদে শনিবার রেলের আধিকারিকের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
অমৃত ভারত প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বীরভূমের রামপুরহাট রেল স্টেশনটিকে। আর সেই অমৃত ভারত প্রকল্পের বাস্তবায়ন করতে বীরভূমের রামপুরহাট রেল স্টেশন সংলগ্ন ব্যবসায়ীদের পূর্ব রেলের তরফ থেকে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়। সেই নোটিশে উল্লেখ করা ছিল আজ অর্থাৎ ২২ জুন রেলের জায়গার উপরে যেসব ব্যবসায়ীরা, রেলের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন তাদের জায়গা ফাঁকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তারই প্রতিবাদে এদিন বীরভূমের রামপুরহাটের রেল পাড়ের বাজারে সমস্ত দোকান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখান এলাকার ব্যবসায়ীরা। এরপর রেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের কাছে তারা একটি স্মারকলিপিও জমা দেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রেলের জায়গা ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা এবং শয়ে শয়ে বস্তিবাসীরা তাদের রুটি রুজির জোগাড় করেন তাদের এই রেলের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। এবং উচ্ছেদের নামে ব্যবসায়ীদের এবং বস্তিবাসীদের ওপরে রেল পুলিশের জুলুম করা যাবে না। তাদের আরো দাবি, স্থানীয় বস্তিবাসী এবং ব্যবসায়ীদের নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক।
কংগ্রেস নেতা সাহাজাদা হোসেন কিনু বলেন, “আলোচনা না করে আমরা উচ্ছেদ মানব না। রেল গা জোয়ারি করে দোকান ও বস্তি উচ্ছেদের চেষ্টা করছে। এর ফলে বহু মানুষ রুটিরুজি হারাবে। কিছু মানুষ মাথা গোঁজার ঠাই হারাবে। তাই আমরা আলোচনা ছাড়া উচ্ছেদ করতে দেব না”।