সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১১ সেপ্টেম্বর: উদ্বাস্তুদের পাট্টা দেওয়া জমির পর্চা, জমির চরিত্র বদল, কলোনিগুলিকে নিয়ে আলাদা পঞ্চায়েত গঠন সহ ১৯ দফা দাবিতে আজ জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে ডেপুটেশন দিল সম্মিলিত কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদ। এদিন সংগঠনের সদস্যরা একটি মিছিল করে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের অফিসের সামনে হাজির হন। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি জীবন রঞ্জন ভট্টাচার্য, রাজ্য নেতৃত্ব সুধাংশু মজুমদার, সুজয় চৌধুরী, প্রাক্তন বিধায়ক অজিত রায় সহ অনেকে।
সংগঠনের জেলা সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, দেশ ভাগের পর বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত উদ্বাস্তু শরণার্থী এদেশে এসেছেন তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে ভারত সরকার। এরাজ্যে প্রায় ৯৯৮টি জবরদখল উদ্বাস্তু কলোনি গড়ে ওঠে পশ্চিম বাংলায়। ৬০৭ গ্রুপে বাঁকুড়ার দামোদর নদের মেজিয়া, বড়জোড়া, সোনামুখী, পাত্রসায়ের মানাচর গুলিতে উদ্বাস্তুরা জবরদখল কলোনী গড়ে তোলে। জেলায় এরকম কলোনির সংখ্যা ৩৮টি। রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, ১৯৮৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ১৯৮৮ সালের ১৮ জুলাই শরণার্থীদের জমির পাট্টা দেওয়া হয়। এরপর তৎকালীন রাজ্য সরকার সামান্য কিছু পাট্টা জমির মিউটেশন করে পর্চা দিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। এখনও পর্যন্ত বার বার আন্দোলন করা সত্ত্বেও অধিকাংশ জমির পর্চা দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, আমাদের দাবি, পরিবার প্রতি ১০ কাঠা বাস্তু জমি ও ৯ বিঘা কৃষিজমি দিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও বড়জোড়া ও ঘুটগোড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের যে ১১টি বুথ মানাচর এলাকায় রয়েছে সেগুলিকে নিয়ে একটি আলাদা গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন করতে হবে।
রাজ্য নেতৃত্ব সুজয় চৌধুরী বলেন, সীতারামপুর মানা, পল্লীশ্রী মানা ও বড়মানার নদী ভাঙ্গন রোধে আশু ব্যবস্থা নিতে হবে। কলোনীর রাস্তাগুলি পিচ অথবা ঢালাই করে দিতে হবে।
ভূমি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, এদিন বাস্তুহারা পরিষদের কাছ থেকে একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। বিষয়গুলি বিবেচনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানে হবে।