পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ জুলাই: কাউন্সিলরের ওয়ার্ডে কাজ হচ্ছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার একটি প্রোজেক্টের, অথচ জানেন না খোদ কাউন্সিলর। ঘটনাটি মেদিনীপুর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্টেশন সংলগ্ন পোল্ট্রি পুকুর এলাকার। প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের আওতায় থাকা এক সময়ের পোল্ট্রি পুকুর এলাকা বর্তমানে মেদিনীপুর পুরসভার অধীনস্থ। দীর্ঘ আন্দোলনের পর প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের পক্ষ থেকে পুকুরটি এলাকাবাসীদের ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। এই পুকুরের উপর নির্ভরশীল এলাকার বেশকিছু পরিবার। পুকুরটি একবার সংস্কার হলেও তা ফের নোংরা হয়ে যায়। এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে পৌরসভার কাছে পুকুরটি সংস্কারের দাবিও জানানো হয়েছিল। কিন্তু এলাকাবাসীরা সম্প্রতি দেখতে পান, পুকুরের পাড়ে কাজ করছে কিছু শ্রমিক। কিসের কাজ হচ্ছে তা জানতে তারা কাউন্সিলর মৌ রায়ের দ্বারস্থ হন। কিন্তু কাউন্সিলর বিষয়টি সম্পর্কে একদমই অবগত ছিলেন না। আর এখান থেকেই শুরু হয় বিতর্কের।
কাউন্সিলর রবিবার দিন পোল্ট্রি পুকুর পরিদর্শনে যান। তিনি দেখেন সেখানে ঠিকাদারের নেতৃত্বে কাজ চলছে। কিসের কাজ চলছে তা ঠিকাদারকে জানতে চাইলে ঠিকাদার বলেন, মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তাকে নির্দেশ দিয়েছেন এই পুকুরের পাড় পরিষ্কার করতে৷ এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা। কাউন্সিলরের মাথাই পড়ে বাজ। তারই ওয়ার্ডে কাজ হচ্ছে অথচ জানেন না খোদ কাউন্সিলরই। ঘটনাটি এবারই প্রথম নয়, বরাবরই একই রকম ঘটনা ঘটে চলেছে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌ রায়ের সাথে এবং বারবার কাউন্সিলর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে সোচ্চারও হয়েছেন। রবিবার আবারও হাত জোড়ো করে চেয়ারম্যানকে তিনি অনুরোধ করেন ওয়ার্ডে কোনো কাজ হলে অন্তত কাউন্সিলর যাতে জানতে পারে।
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই এলাকায় আগে পোল্ট্রি পুকুর পরিষ্কার করতে হবে এবং তারপর পুকুর পাড় পরিষ্কারের কাজ হবে। তবে স্থানীয়রা জানতে পেরেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান চাইছেন এই পোল্ট্রি পুকুরের পাড়ে মাছ এবং মুরগির দোকান স্থানান্তর করতে যা স্থানীয় বাসিন্দারা কোনো দিনও হতে দেবে না। এই পুকুর পাড়ে বাচ্চাদের খেলার জন্য পার্কের দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।