আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৪ জুলাই: রেলে বহু শূন্যপদ ফাঁকা। ফলে অতিরিক্ত ডিউটি করতে হচ্ছে বর্তমান কর্মীদের। কর্মীরা বিশ্রাম না পাওয়ার ফলেই ট্রেন দুর্ঘটনা বাড়ছে। জানালেন অল ইন্ডিয়া লোকো রানিং স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি আর আর ভকত।
শুক্রবার সংগঠনের বীরভূমের রামপুরহাট শাখার ১৫তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় রেলমঞ্চে। সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদক কে সি জেমস। সভায় একাধিক দাবি নিয়ে আলোচনা হয়। সেই দাবি আগামী দিনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে বলে সভায় জানানো হয়েছে। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি আর আর ভকত বলেন, “রেলের লোকো রানিং কর্মীদের সপ্তাহে দু’রাত্রির বেশি ডিউটি দেওয়া যায় না। বিদেশে এমন নিয়ম চালু রয়েছে। কিন্তু এখানে কর্মীর অভাবে কর্মীদের চার রাত্রি করে ডিউটি দেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহে ৪৬ ঘণ্টা বিশ্রাম দেওয়ার কথা। কিন্তু রেল সেই নিয়ম মানছে না। রেলের হাইপাওয়ার কমিটি রেকমেন্ড করেছে কোনো কর্মীকে ৯ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করানো যাবে না। কিন্তু বর্তমানে ৮০ শতাংশ কর্মীকে ১২-১৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে বাধ্য করা হচ্ছে। কারণ রেলে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। তার মধ্যে শুধু লোকোতে ৩০ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য অতিরিক্ত সময়ের ডিউটি দায়ী। আমাদের দাবি, অবিলম্বে সমস্ত শূন্যপদ পূরণ করা হোক। সেই সঙ্গে সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ মেনে ২৫ শতাংশ রানিং অ্যালাউন্স বাড়ানো হোক।”
সংগঠনের জোনাল সম্পাদক জে কে মণ্ডল বলেন, “আমাদের কাজ হচ্ছে যাত্রীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সুরক্ষিতভাবে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু যে রাস্তায় ট্রেন চলবে না সেই রাস্তায় রেল কর্তৃপক্ষ জোর করে হ্যান্ড ব্রেকের কাজ করাচ্ছে। অতিরিক্ত কাজ করানোর ফলে আগামী দিনে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। রেলের বড়সড় লোকসান হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। হ্যান্ড ব্রেকের কাজ লোকো কর্মীদের দিয়ে না করালে দুর্ঘটনা কম হবে।”