আমাদের ভারত, ৪ ফেব্রুয়ারি:দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে কৃষক আন্দোলন চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই আন্দোলন আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। আর তাতেই বেড়েছে বিতর্ক। এই পরিস্থিতিতে গতকাল দেশের ঐক্য বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার সেই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি বললেন দেশের ঐক্য ও সম্মান অক্ষুন্ন রাখার শপথ সবাইকেই নিতে হবে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় চৌরিচৌরার ঘটনার ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের সূচনা করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখার সময় মোদী বলেন, “আমাদের শপথ নিতে হবে যে আমাদের কাছে দেশের ঐক্য ও সম্মান সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর এই শপথ নিয়েই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”
আজ আবারও একবার বাজেটের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, এই বাজেটে কৃষকদের জন্য সবচেয়ে বেশি ভাবা হয়েছে। তার কথায় বাজেটে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা কৃষকদের আরও বেশি আত্মনির্ভর করে তুলবে। কৃষি ক্ষেত্রে আর্থিক লাভ আরোও বাড়বে। তিনি আস্বস্ত করেন যেসব কৃষকদের অল্প জমি রয়েছে, সেইজমিক কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। এই বাজেটের ফলে দেশের ক্ষুদ্র চাষিরা অনেক বেশি লাভবান হবে।
মোদী সরকার সব সময় কৃষকদের পাশে থেকেছে , একথা মনে করিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষক ভাইরা দেশের সব থেকে বড় শক্তি। চৌরিচৌরাতে কৃষকরা বড় ভূমিকা নিয়েছিল। গত ৬ বছর ধরে বিজেপি সরকার কৃষকদের উন্নতির চেষ্টা করছে। সে প্রচেষ্টার ফলেই করোনার মধ্যেও দেশবাসী দেখতে পেয়েছে রেকর্ড শস্য উৎপাদন হয়েছে ভারতে।
চৌরিচৌরার ঘটনাকে মনে রাখার জন্য সারা বছর ধরে অনুষ্ঠান হবে বলেও জানান মোদী। অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন তৎকালীন ইউনাইটেড প্রভিন্সের গোরখপুর জেলার চৌরিচৌরাতে ১৯২২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ইংরেজদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গুলি চালালে তার জবাবে একটি থানায় আগুন লাগিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এই ঘটনায় আগুনে ৩ জন সাধারন মানুষও ২৩ জন পুলিশ কর্মী মারা যায়। এই ঘটনায় কষ্ট পেয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন গান্ধীজী। আগামী বছর এই ঘটনার ১০০ বছর পূর্তি। সেই অনুষ্ঠানের আজ সূচনা করেন আজ প্রধানমন্ত্রী।