পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ এপ্রিল: রবিবার মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার লোকসভার নির্বাচন কমিটিতে থাকা তৃণমূল নেতা, বিধায়ক ও মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৈঠক চলে ঝাড়গ্রামে। এরপর বিকেল ৪টে থেকে সন্ধে পর্যন্ত মেদিনীপুরে চলে বৈঠক। দুই জেলার প্রার্থী কালিপদ সরেন, জুন মালিয়া। দুই জেলার সভাপতি দুলাল মুর্মু, সুজয় হাজরা। দুই যুব সভাপতি আর্য ঘোষ, নির্মাল্য চক্রবর্তী। দুই জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময় মারান্ডি, প্রতিভারানী মাইতি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মানসবাবু বলেন, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর আসনে এবার তৃণমূল জিতছে। এই দুটি আসন তাঁরা এবার তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেবেন। তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করেই কর্মী সমর্থকরা কাজ করে চলেছেন। ঘাটালে তো জিতছেনই। গত দশ বছরে বিজেপি কোনো কাজ করেনি। খড়্গপুরের বিধায়ক মেদিনীপুরের বিজেপির বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ শুধু মাত্র বড় বড় ভাষণ দিয়েছেন, কোনো কাজ করেননি। খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ চ্যাটার্জিও কোনো কাজ করেননি। আর তৃণমূলের সরকার ৬৭টি প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের দরজায় উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছেন।
রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মানস ভুইঁয়া জানান, ঠিক নির্বাচনের মুখে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরিচ্যুত হয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষা কর্মী মিলিয়ে ২৫৭৫৩ জন। রাজ্য সরকার ও কর্মচারী ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ত্রুটিহীন শিক্ষক, শিক্ষা কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। নির্বাচন মেটার পর এনিয়ে যতদূর যেতে হয় তারা যাবেন।