Debra, Flood, ডেবরার বন্যা দুর্গতের পাশে দাঁড়ালো মেদিনীপুর রিয়েল এস্টেট ডেভলপার অ্যাসোসিয়েশন

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ সেপ্টেম্বর: এখনো জলমগ্ন পরিস্থিতি ডেবরার চককৃপাণ সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। সরকারিভাবে ত্রাণ না পেয়ে ফুঁসছে এলাকার মানুষজন।এই দুর্গত মানুষদের সাহায্যে এবার পাশে এসে দাঁড়ালো মেদিনীপুর রিয়েল এস্টেট ডেভলপার অ্যাসোসিয়েশন। এদিন তারা একটি বড় প্যাকেটে করে শুকনো মুড়ি, বিস্কুট, চানাচুর, দুধের প্যাকেট সহ কেক নিয়ে হাজির হন। প্রায় হাজার দুয়েক প্যাকেট তারা গ্রামের অসহায় মানুষের মধ্যে বিলি করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ত্রাণ পেয়ে খুশি এলাকার অসহায় মানুষজন।

গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি, সেই সঙ্গে ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের পাশাপাশি ডেবরা এলাকা।হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন। আবার বহু মানুষ খাবার না পেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। যদিও রীতিমত এখন জল সেভাবে পুরোপুরি নেমে যায়নি, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে।

অন্যদিকে বাড়ি ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে একাধিক পরিবার। এবার এই বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালো মেদিনীপুর রিয়েল এস্টেট ডেভলপার অ্যাসোসিয়েশন। এদিন তারা গাড়িতে করে মুড়ি, চিঁড়ে বিস্কুট, চানাচুর সহ দুধের প্যাকেট এবং শুকনো খাবারের প্যাকেট নিয়ে হাজির হন সংশ্লিষ্ট এলাকায়।এরপর ডেবরার চককৃপাণ এলাকায় গিয়ে রীতিমতো তালিকা তৈরি করে একে একে সবার হাতে ত্রাণ তুলে দেন। দুটো গাড়িতে প্রায় ২০০০ প্যাকেট ত্রাণ পৌঁছে দেন এই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। এই দুঃসময়ে শুকনো খাবারের প্যাকেট পেয়ে খুশি এলাকার মানুষজন। তাদের অভিযোগ, এই অসহায় পরিস্থিতিতে সরকারি ভাবে কোনো সাহায্য মেলেনি। যেটুকু মিলেছে এই সংগঠন থেকে।এই ত্রাণ অনেকটাই সাহায্য করবে দু’মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য। এদিনের এই ত্রাণ বিলিতে হাত লাগান শান্তনু চক্রবর্তী, সুদীপ্ত বোস, অঙ্কুর লোধা, আনোয়ার হোসেন, বিজয় দাস, অনুপ সিং, ইমরান খান সহ অন্যান্যরা। এই ত্রাণ বিলিতে এইদিন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন সুমন চ্যাটার্জি।

এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য সুদীপ্ত বোস বলেন, ”আমরা এখানে এসে দেখেছি এখানকার বানভাসী মানুষ খুব অসহায় অবস্থায় রয়েছে। তাই আমাদের তরফ থেকে একটা ছোট্ট উদ্যোগ।যে উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা প্যাকেটে করে বেশ কিছু শুকনো খাবার নিয়ে এসেছি তাদের জন্য। সেগুলো আজ আমরা বিলি করলাম। আমরা দেখছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও একটি যদি ক্যাম্প করে এই ধরনের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। কারণ এই পরিস্থিতিতে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের কাজ।

অন্যদিকে অন্যতম সদস্য শান্তনু চক্রবর্তী বলেন,
”আমরা যেমন মেদিনীপুরের মানুষের জন্য নতুন স্বপ্ন পূরণ করি সেই সঙ্গে আমরা দুর্গত মানুষের সাহায্য করার জন্য সর্বদাই তৎপর। এই বানভাসী মানুষের জন্য আমরা ছোট্ট একটি প্রচেষ্টায় এ কাজ সম্পন্ন করেছি। আগামী দিনে প্রয়োজন হলে আমরা আবার পাশে দাঁড়াবো ওই অসহায় দুর্গত মানুষদের সাহায্যের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *