আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২৭ জানুয়ারি: গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করল মেডিক্যালের এক ছাত্রী। মৃত ছাত্রীর নাম মধুমিতা ঘোষ (২০)। বাড়ি বাঁকুড়ার রায়পুরে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে হোস্টেল থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে বীরভূমের রামপুরহাট থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। থাকতেন রামপুরহাট থেকে কিছুটা দূরে চকমণ্ডলা গ্রামে মেডিক্যালের হোস্টেলে। বেশ কিছুদিন থেকে ওই ছাত্রী মেডিক্যালে পড়া ছেড়ে বাড়ি ফেরার জন্য বাড়িতে চাপ দিচ্ছিল। এরপরেই সোমবার তারাপীঠে আসেন তাঁর বাবা মা। তারা ওঠেন তারাপীঠের একটি বিলাসবহুল হোটেলে। সেখানেই মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন তাঁরা। ফেরার সময় মেয়ের কাছ থেকে আন্ড্রয়েড ফোন কেড়ে নিয়ে একটি সাধারণ ফোন ধরিয়ে দিয়ে যায়। হোস্টেলের অন্যান ছাত্রীরা জানান, বাবা মা ফিরে যাওয়ার পর থেকেই মধুমিতার মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ ঘুম থেকে ওঠে সে। এরপর বাইরে বেরিয়ে ফের হোস্টেলে ঢোকে। সবাই পড়তে শুরু করে। সেই ফাঁকে সে চারতলার একটি ঘরে ঢুকে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলে পড়ে।
দুপুরের দিকে সহপাঠীরা তাঁকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখে চারতলার একটি ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। এরপরেই হোস্টেলের সুপার এবং অন্যানদের খবর দিয়ে দরজা খুলে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি ছাত্রীর বাবা মা। পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত চলছে। তবে আত্মহত্যার কারন পরিস্কার নয়।