স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ২৭ জানুয়ারি: রায়গঞ্জে এক তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার মহারাজা গ্রামে। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম মহম্মদ আলি ( ৫৫)। তাঁর বাড়ি রায়গঞ্জ থানার শীতগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতের কৃষ্ণমুড়ি গ্রামে। ঘটনাস্থলে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার তদন্তের জন্য ও দুস্কৃতীদের তল্লাশি অভিযানে নামানো হয়েছে পুলিশ কুকুর। নিহত মহম্মদ আলির ভাইপো সেকেন্দর আলিকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান জমি নিয়ে শরীকী বিবাদ থেকেই এই খুনের ঘটনা। তৃণমূল কংগ্রেস এই খুনের ঘটনায় বিরোধী দলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জের থানার শীতগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতের কৃষ্ণমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আলির সাথে একটি জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল তাঁর ভাই টেপু আলির সঙ্গে। দুদিন আগে এনিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে গন্ডগোল এবং হাতাহাতিও হয়। মঙ্গলবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি মিটিংয়ে যান মহম্মদ আলি। দুপুরে বাড়িতে ভাত খেতে আসার কথা থাকলেও আসেননি তিনি। এরপর আর সারা রাত বাড়ি ফেরেননি মহম্মদ আলি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজখবর করেও তার হদিশ পাননি।
বুধবার সকালে মহারাজা গ্রামে মাঠের ধারে রাস্তায় ঝোপের মধ্যে মহম্মদ আলির রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদেহের বুকে গুলির চিহ্ন দেখা যায়। ঘটনার খবর পেয়ে আসে রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপা সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি গুলি উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান দুস্কৃতীরা খুব কাছ থেকে মহম্মদ আলিকে গুলি করে খুন করে। দুষ্কৃতীদের তল্লাশি ও ঘটনার তদন্তে নামানো হয়েছে পুলিশ কুকুর৷ পুলিশ সেকেন্দর আলি নামে মৃতের ভাইপোকে আটক করেছে।
স্থানীয় তৃনমূল কর্মী মহম্মদ আলি খুনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান জমি নিয়ে শরীকি বিবাদ থেকেই এই খুনের ঘটনা হতে পারে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব খুনের ঘটনায় বিরোধী দলের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছেন। ঘটনার পুনার্ঙ্গ তদন্তের দাবি তুলেছে তৃণমূল।