সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৭ মে: আমি আপনাদের সকলের আশীর্বাদ নিয়ে লড়াই এ নেমেছি, যাতে আগামী দিনে ভারত মোদীর মতো রাহুর হাত থেকে মুক্তি পায়। আজ বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের পাত্র সায়রে গোরু হাট তলায় আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল ও বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী সহ জেলার অন্যান্য নেতারা।
জনসভায় বক্তব্যের মাঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্লোগান দিতে শুরু করেন, ‘জাহান আবার খেল হবে’, ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, বিজেপি চোর হ্যায়’। তার স্লোগানে জনতাও গলা মেলায়। তিনি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জয় হিন্দ, বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বন্দে মাতরম থেকে ইনশাল্লাহ, জয় জোহর এবং জয় বাংলা পর্যন্ত স্লোগানগুলি স্মরণ করতে ভোলেননি। তিনি বিজেপির কড়া সমালোচনা করে বলেন, যে তারা দেশ বিক্রি করছে এবং জনগণের টাকা লুট করে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। আর, তৃণমূলকে চোর বলার সাহস হয় কী করে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে বলেন, যেখানে বাংলার সরকার বিনা টাকায় চাল দিচ্ছে, সেখানে মোদী সরকার হাজার টাকার গ্যাস দিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে, মোদী আমাদের টাকা দিচ্ছেন না তিনিই আবার জনগণকে যে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তিনি ১৫ লক্ষ টাকা প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে দেবেন তাও দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, মোদী জাদু শেষ, এখন শুধু এই স্লোগান হয়েছে, মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ১০০ দিনের টাকা দেননি। মোদীজির টাকা দিয়ে নারীর আত্মসম্মান নষ্ট করে এমন প্রতারকদের একটি ভোটও দেবেন না। গ্রামবাংলায় জল সঙ্কট প্রসঙ্গে উল্লেখ করে তিনি বলেন যে, আমরা জল প্রকল্প নিয়েছি তা ২০২৫- ২৬ সালের মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছে যাবে। সভায় তিনি বিষ্ণুপুরের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ঘরানা বিশ্ব দরবারে বিখ্যাত বলেও উল্লেখ করেন।
জনসভা শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নেচে এবং ধামসা বাদল বাজিয়ে মানুষকে উৎসাহিত করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের দুই প্রার্থী ছাড়াও রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসুয়া রায়, মলয় ঘটক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।