সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১০ নভেম্বর: চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতির মৃত্যু। এমনই অভিযোগ উঠল চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। মৃতের পরিবারের তরফ থেকে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতি-সহ খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানা এলাকায়।
মৃতের পরিবার সূত্রের খবর, গাইঘাটা থানা এলাকার পাট্টাবুকা গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ পালের ভাগ্নি অন্তরা পালের বিয়ে হয় অশোকনগর থানা এলাকার সেনডাঙার বাসিন্দা পলাশ পালের সঙ্গে। অন্তরাদেবী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত ৬ তারিখে প্রচণ্ড পেটে ব্যথা নিয়ে তাঁকে ভর্তি করা হয় বনগাঁর নার্সিংহোমে। সেখানেই চিকিৎসক মলয়কৃষ্ণ সাহার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা শুরু হয় তাঁর।ভর্তির পর থেকে দু’দিন কেটে গেলেও কোনওরকম উন্নতি হয়নি দেখে পরিবারের তরফে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ দিয়ে চিকিৎসা করানোর দাবি জানানো হয়। কিন্তু ওই চিকিৎসক মলয়কৃষ্ণ সাহা জানান, তিনি প্রয়োজনীয় যা যা করার করছেন। কিন্তু রোগীর ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বেগতিক বুঝে নার্সিংহোমের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় রোগীকে বনগাঁ হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে। অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে রোগীকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অন্তঃসত্ত্বা। এর পরই মৃতের পরিবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বনগাঁ থানায়।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে মলয় সাহা বলেন, “পেটে মৃত সন্তান ছিল। আমি ওঁদের বাড়ির লোকজনদের বলেছিলাম। কিন্তু ওঁরা অপারেশন না করেই চিকিৎসা চেয়েছিলেন। আমি ওঁদের অন্যত্র নিয়ে যেতে বলেছিলাম। ওঁরা শোনেননি। তাই দু’দিন রেখে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি।” ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।