Mamata, TMC, প্রকাশ্যে ‘নির্যাতিতার ফাঁসি চেয়ে’ নেটনাগরিকদের কটাক্ষের মুখে মমতা

আমাদের ভারত, ১৭ আগস্ট: আর জি কর হাসপাতাল-কান্ডে দোষীর ফাঁসি দাবি করতে গিয়ে প্রকাশ্যেই নির্যাতিতার ফাঁসি দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে তাঁর তিন পাশে ছিলেন দলের অন্তত এক ডজন নারী জনপ্রতিনিধি। আর সেই ভিডিও এখন সামাজিক মাধ্যমে লোকে দেখছেন তরিয়ে তরিয়ে।

আর জি কর-কান্ডে মানুষের ক্ষোভ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এর রাজনৈতিক মোকাবিলা করতে শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারী জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মঞ্চে শ্লোগান দিতে থাকেন। বলেন, ‘মানুষের জয় হোক’। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সঙ্গে সমবেতরা হাত তুলে বলেন, ‘জয় হোক’, ‘জয় হোক’। এর পর মমতা বলেন, ‘নির্যাতিতার ফাঁসি হোক’! সবাই মুষ্টিবদ্ধ হাত ওপরে ছুঁড়ে ধ্বনি দিতে গিয়েও থমকে গেলেন। ভিডিওতে শোনালো তাঁদের সমবেত ‘গা’ কথাটা। মুখ্যমন্ত্রীর পাশে-পিছনে ছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, অদিতি মুন্সি, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, দোলা সেন প্রমুখ দলের নেত্রী।

অনেকের মতো সৃষ্টি বিশ্বাস নামে এক নেটনাগরিক বেশি রাতে সামাজিক মাধ্যমে এই ভিডিও ক্রমান্বয়ে পোস্ট করে লিখেছেন, “নাটকের স্ক্রিপ্ট ঠিক করে মুখস্থ না করে এলে এটাই হয়। মুখ থেকে ভুলভাল বেরিয়ে যায়”। শনিবার বেলা দুটোর এই ভিডিও-সহ পোস্টে মন্তব্য এসেছে ৯২০। শেয়ার করেছেন ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫০০। দেখেছেন ২৯ লক্ষের ওপর।

হিরণ মিত্র লিখেছেন, “আচ্ছা এত অশিক্ষিত মানুষ হয়। নির্যাতিতার ফাঁসি জিনিসটা কী ভাই। সে তো মারা গেছে। হা হা হা।” মৃত্তিকা চৌধুরী লিখেছেন, “এদের চিনে রেখে বয়কট করা উচিত। সিরিয়াসলি! একটা লিমিট আছে পা চাটার!” রিমা প্রামাণিক লিখেছেন, “ও মা গো! আমি এটা কী শুনলাম? নিজের কানের উপরও বিশ্বাস হচ্ছে না।”

উজ্জ্বল চ্যাটার্জি লিখেছেন, “বলছি কে আছেন, এদের মুখে একটু চন্দন তুলসি পাতা দিয়ে দিন। কতটা নির্লজ্জ এরা। ভাবুন একবার! মঞ্জুশ্রী করণ সাউ লিখেছেন, “নির্লজ্জ এবং দুঃসাহসী। জানে সব কিছুতেই ঠিক উতরে যাবো। কিন্তু এবার সেটা আর হতে দেওয়া যাবে না।”

অনু সাহা লিখেছেন, “অদিতি মুন্সি, কীর্তন বালি, রচনা দিদি নম্বর ওয়ান, ছি ছি!” উপাসনা দাশগুপ্ত লিখেছেন, “উনি কবে পাগল ছিলেন না বলতে পারবেন?” রিতা চ্যাটার্জি লিখেছেন, “আমাদের পাগল করছে। ও মোটেও পাগল নয়। ইচ্ছে করে বলছে আপনারা বুঝতে পারছেন না!” ঋতম সরকার লিখেছেন, “এত কোটি কোটি টাকা ঝেড়ে কী লাভ, সেই যদি মুখ দিয়েই নামাতে হয়!”

অজিত দাস লিখেছেন, “এটা কি কোনো ধারাবাহিক এর শুটিং চলছে? পার্থ মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, “একদম গামবাট। অশিক্ষিতের হাতে ক্ষমতা গেলে এসবই হবার কথা”।

শতভিষা গুহ লিখেছেন, “সব মানুষের ফোকাস ঘোরানোর ধান্দা। শেলি ঘোষ লিখেছেন, “আপনি কার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বেড়িয়েছেন? আপনি জানেন না আসল দোষী কে? আপনি নিজেই তো একজন মেয়ে, কিভাবে সব লুকিয়ে রাখছেন? মানুষত্ব আছে আপনার? অভিরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “শুয়োরের স্ত্রী লিঙ্গ কী কিছুতেই মনে পড়ল না!”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *