Sukanta, Mamata, পুলিশ টাকা খাচ্ছে! নিজের বাহিনীর সমালোচনা করছেন মমতা, নজর ঘোরানো নাকি নায়ককে বার্তা? প্রশ্ন সুকান্তর

আমাদের ভারত, ২২ নভেম্বর: পুলিশের একাংশ টাকা খাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটাই মন্তব্য করেছেন। আর তা নিয়েই আক্রমণ শানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। কী কী কারণে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে তিনটি প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্যবাসীর নজর ঘোরাতেই কি পুলিশের একাংশ টাকা খাচ্ছে, বালি চুরি, কয়লা চুরি, মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী? নাকি আচ্ছন্ন হয়ে সেই মন্তব্য করেছেন? নাকি দলেরই নায়ককে বার্তা দিতে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেছেন? একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই দুর্গাপুরে লোহা চোরাচালানের অভিযোগে দুই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারের ঘটনাতেই কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার।

কয়লা, বালি চুরি নিয়ে সরাসরি নিচু তলার কিছু পুলিশের একাংশ এবং সি আই এস এফ কে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কয়লা চুরি করবে সিআইএসএফ এবং পুলিশের একাংশ আর দোষ হবে তৃণমূলের? এই জিনিস আমি টলারেট করব না।

তাঁর মন্তব্যে একাধিকবার উঠে এসেছে পুলিশের দুর্নীতির কথা। তারপরেই বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডেলে কটাক্ষ করেছে মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি লেখেন, পুলিশ মন্ত্রী নিজেই তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন চাটুকারিতা সর্বস্ব বাহিনীর সমালোচনা করতে ব্যস্ত। এটা নজর ঘোরানোর কৌশল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। পাশাপাশি তিনি আরো প্রশ্ন তোলেন, দলের আরেকটি বিভাজিত অংশের নায়কের উদ্দেশ্য কি এই বার্তা? যদিও এই নায়ক কে তা স্পষ্ট করেননি সুকান্ত মজুমদার।

মুখ্যমন্ত্রী গতকাল দুর্নীতি প্রসঙ্গে ক্ষোভের সুরে বলেন, কিছু অফিসার এই সরকারকে ভালোবাসে না। লোয়ার লেভেলের কিছু অফিসার কর্মী, যারাই সরকারকে ভালোবাসে না এবং পুলিশের কিছু লোক টাকা খেয়ে আজ বালি চুরি, কয়লা চুরি, সিমেন্ট চুরি করছে। আমি পরিস্কার বলেছি, বালি- পাথরের জায়গায় টেন্ডার করা, অবৈধ খনন আটকে দাও।

পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, টাকা খেলেও আমাদের লোকেদের ধরার অধিকার আছে। কারণ চুরি হলে বলবে তৃণমূল কংগ্রেস চুরি করেছে। আর চুরি করবে ও টাকা খাবে পুলিশের একাংশ, আমি সহ্য করব না। কোনো রাজনৈতিক দলের লোক যদি খায় তার কলার চেপে ধরো।

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ দিনের মন্তব্যের পরই শুক্রবার দুর্গাপুরের লোহা চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গেও সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর বক্তব্য, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর নাটকীয় বক্তৃতার পরেই বড় আকারের দুর্নীতিকে নস্যাৎ করার চেষ্টা চলছে। তবে এটা থেকে স্পষ্ট যে তাঁর দল (তৃণমূল কংগ্রেস) অসৎ এবং অপরাধের ওপরে নির্মিত। একের পর এক তৃণমূল নেতারা বড় বড় দুর্নীতিতে ও কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়ছেন। অতীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের রক্ষা করার জন্য সিআইএসএফের সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু তা আজ ব্যর্থ। বালি, কয়লা, পাথর এবং লোহা পাচারের জন্য তৃণমূলের নেতারাই ধরা পড়ছেন। সত্য মানুষের কাছে প্রকাশিত হয়ে গেছে। তাঁর কথায় এবার বাংলার মানুষ রাজ্যজুড়ে দুর্নীতি ও দুঃশাসন পরিষ্কার করতে প্রস্তুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *