Sukanta, Mamata, ফিরহাদকে তিরস্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাফ্লেজ, উনি পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ তৈরি করতে চান: সুকান্ত মজুমদার

আমাদের ভারত, ১৬ ডিসেম্বর: মুসলিমরা একদিন সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে। রাজ্যের পুরমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। বিরোধীরা কড়া ভাষায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছেন। ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্যে তিরস্কার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই তিরস্কার ক্যামোফ্লেজ বা ছদ্মবেশ বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “ধর্মের ভিত্তিতে জাত- পাতের ভিত্তিতে কোনো রাজনীতি করা যাবে না।” কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পাল্টা সুকান্ত মজুমদার বলেন, এটা মুখ্যমন্ত্রীর ক্যামাফ্লেজ বা ছদ্মবেশ। ইসলামের ভাষায় এটাকে আল তাকিয়া বলে। অর্থাৎ কিছুদিনের জন্য মানুষকে বোকা বানানো। সুকান্ত মজুমদারের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন এই ভোট ব্যাঙ্ক যাকে সংখ্যালঘু বলা হয়, যদিও আমরা মনে করি না পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমরা সংখ্যালঘু। আসলে তারা এখন দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ। বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানরা হচ্ছে সংখ্যালঘু।

সুকান্ত মজুমদারের দাবি, তৃণমূল নেত্রী সবসময় তথাকথিত ভোটব্যাংক বারুক সেটাই চান। উদাহরণ হিসেবে সুকান্ত মজুমদার বলেন, সীমান্তে যখন কাঁটাতারের প্রশ্ন আসে, বিএসএফের পোস্টের জন্য যখন জমি চাওয়া হচ্ছে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে, মুখ্যমন্ত্রী দিচ্ছেন না। যদি তাঁর সদিচ্ছা থাকত তাহলে তিনি দিতেন। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী চান পশ্চিমবঙ্গটাকে বাংলাদেশ বানাতে।

অন্যদিকে, এক দেশ এক ভোটের বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এক দেশ এক ভোটের ফলে হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বেঁচে যাবে। স্কুলের শিক্ষণ দিবস বাঁচবে। দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকবে না। তাঁর কথায়, ভোটের কারণে শিক্ষকরা অনেকটা সময় ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকতে বাধ্য হন। ফলে স্কুল বন্ধ রাখা হয়। ভোটের কারণে স্কুলে পড়াশোনা বন্ধ থাকে। সেই সব কিছু থেকে বেরিয়ে আসা যাবে। কিন্তু বিরোধীরা দেশের ভালো হোক চান না বলেই এই বিলের বিরোধিতা করছেন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ডিএ দিতে পারছেন না, তাই তিনি ছুটি দিতে ব্যস্ত। ছুটি দিও ক্ষমতায় থাকো, এই পলিসিতেই তৃণমূল সরকার তারা চালাচ্ছে বলে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *