আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৪ জানুয়ারি: বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থির মধ্যেই এই দেশে রোজ জাল পাসপোর্ট নিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হচ্ছেন বাংলাদেশি
অনুপ্রবেশকারীরা। আর সেই প্রসঙ্গে বাংলার তৃণমূল সরকার কেন্দ্রকে এবং কেন্দ্র রাজ্যকে দায়ী করছে। আর এই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মাঝে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের অপদার্থতাকে দায়ী করলেন।
নৈহাটি শহর কংগ্রেস ২- এর উদ্যোগে নৈহাটির আনন্দবাজার এলাকায় জাতীয় কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী সহ জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী, দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করা হলো শনিবার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার উত্তর ২৪ পরগনার জেলা কংগ্রেস সভাপতি তাপস মজুমদার সহ একাধিক কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এদিন তিনি অভিযোগ করে বলেন, “অনুপ্রবেশের জন্য শুধু বাংলাকে দায়ী কেন করা হচ্ছে? যেখানে অসমে ডাবল ইঞ্জিন সরকার চলছে সেখানেও অনুপ্রবেশ ঘটছে। কেন্দ্র বলছে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের দিকে যে সীমানা আছে তার ৬০০ কিলোমিটারের মত সীমানায় কাঁটা তারের বেড়া নেই। এটা নিয়ে কেন্দ্র বলছে রাজ্য জমি দেয়নি। এটা যদি মিথ্যে হয় তাহলে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সেটা বলুক, না হলে স্বীকার করে নিক যে রাজ্য জমি দেয় না। আসল কথা হচ্ছে কেন্দ্র আর রাজ্য উভয়ের অপদার্থতার জন্য অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। দালাল চক্রের সক্রিয়তার জন্য জাল পাসপোর্ট চক্র দেদার চলছে।”
এদিন মালদায় পৌর পিতার খুন হওয়ার ঘটনা নিয়ে সরব হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “মালদার ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত চিন্তা ভাবনা করে একবার আয়নার সামনে দাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া। কারণ অন্য কেউ এই দপ্তরের মন্ত্রী হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে কবে বরখাস্ত করে দিতেন। এখন উনি নিজেই এই দপ্তরের মন্ত্রী, তাই ওনার নিজের উচিত নিজেকে বরখাস্ত করা।”