আমাদের ভারত, ২৫ মে: ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। দফায় দফায় বিক্ষোভে কেশপুর বিধানসভা এলাকায় আটকে থেকেছেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হীরণ চট্টোপাধ্যায়। কখনো পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন, কখনো বিক্ষোভের মুখে গাড়িতে বসে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। আর এই সব পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ। তার অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন।
গত লোকসভা ভোটে কেশপুর বিধানসভা থেকে বড় লিড পেয়েছিলেন তৃণমূলের দেব। শনিবার সেই কেশপুরে বিজেপি এজেন্টদের মারধর করে বুথ থেকে বার করে দেওয়া হচ্ছে শুনে ছুটে গিয়েছিলেন হিরণ। কিন্তু কেশপুরের বিভিন্ন বুথের সামনে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। কোথাও তার রাস্তা আটকে গাড়ির সামনে খড়কুটো জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকে্রা। কোথাও উঠেছে গো ব্যাক স্লোগান। দেখা গেছে গাড়িতে বসেই হিরণ অভিযোগের সুরে বলছেন, কেশপুরকে পাকিস্তান করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আক্রমণ করেছেন দেবকেও। তবে তৃণমূল প্রার্থী জানিয়েছেন, কোন দলের প্রার্থী যে কোন বুথে যেতেই পারেন, সেই অধিকার তার রয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ভোটের শুরু থেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন হিরণ। বেলা যত গড়িয়েছে পুলিশের সঙ্গে তার সংঘাত বেড়েছে। ঘাটালের আনন্দপুরে স্থানীয়দের সঙ্গে একবার কথা কাটাকাটিও হয়েছে হিরণের। স্থানীয়দের অভিযোগ, হিরণ এসে গোলমাল বাধিয়েছেন। স্বাভাবিক ভোটদানে বাধা সৃষ্টি করেছেন। এক পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে বচসায় দেখা গেছে হিরণকে।
শনিবার ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণের দিন ঘাটালের কেশপুরে এমনই একাধিক উত্তপ্ত পরিস্থিতির ছবি দেখা গেছে। ভোটের আগে রাতে কেশপুর আনন্দপুরে বোমাবাজি হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘুমিয়ে কাটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন হিরণ। হিরণের সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, তাদের আক্রমণ করা হচ্ছে, যেখানে সেখানে ইট বৃষ্টির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের। দুপুরে কেশপুরের মুখবাসন গ্রামে হিরণকে দেখে গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান কয়েকজন। বিজেপির দাবি, বিক্ষোভকারীরা সকলেই তৃণমূলের।