Sukanta, BJP, “লং মার্চ হাই মার্চ দেশের মধ্যে করুক, তার বাইরে বেরলে বিপদ আছে, পা ভেঙ্গে যেতে পারে” হুঁশিয়ারি সুকান্তর

আমাদের ভারত, ১১ ডিসেম্বর: চাপে পড়ে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত স্বীকার করেছে যে তাদের দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশের সরকারকে সেখানকার হিন্দুদের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করতেই হবে। ভারত সবটাই নজরে রাখছে। ভারত বসে কেবল ললিপপ খাচ্ছে ভাবলে তারা ভুল করবে। একই সঙ্গে বিএনপির আগরতলা দখলের দাবি নিয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।

বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ ইস্যুতে আবারো একবার সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ হচ্ছে, সে দেশের সরকার বসে আছে কোন পদক্ষেপ করছে না। পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য সে দেশের সরকারকে পদক্ষেপ করতেই হবে। তাঁর কথায়, “এতদিন ধরে তারা মানছিলই না যে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। তবে আজ সেটা স্বীকার করেছে। ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে আমরা ভিডিওতে দেখেছি হাজারের উপর বেশি মানুষের উপর অত্যাচার হয়েছে। কিন্তু মাত্র ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” এরপরই একরকম হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “বলে রাখা ভালো, ভারত ললিপপ চুষবে এমন দেশ নয়। ইউনুস সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে। কড়া হাতে অরাজাকতা দমন করতে হবে, যাতে শান্তি বজায় থাকে। হিন্দুদের রক্ষা করা বাংলাদেশের সরকারের কাজ। তারা তা পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। ভারতের হিন্দুরা বাংলাদেশের হিন্দুদের সঙ্গে আছে। ওই দেশের হিন্দুদের অবস্থা এমন কেন হবে? এটা খুবই দুঃখজনক।”

বিএনপি লংমার্চ করে আগরতলা অভিযান করবে বলে হুঙ্কার দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তারা লংমার্চ করবে বলে শুনেছিলাম। লংমার্চ করুক আর হাই মার্চ করুক, যা করার করুক, কিন্তু নিজের দেশের মধ্যেই করুক। তার বাইরে বেরনোর চেষ্টা করলে বিপদ আছে। পা ভেঙ্গে যেতে পারে।

একই সঙ্গে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের সংবাদ মাধ্যম সরব হওয়ায় তিনি সংবাদ মাধ্যমকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রথমবার আমরা দেখছি বাংলা মিডিয়া হিন্দু শব্দ উচ্চারণ করছে, হিন্দু অত্যাচারের কথা তারা বলছে। আমি বাংলা মিডিয়াকে ধন্যবাদ দেব। আমরা দেখতে অভ্যস্ত ছিলাম ভেনিজুয়েলায় অত্যাচার, প্যালেস্টাইনে অত্যাচারের বিরুদ্ধে কলকাতায় মিছিল হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে তা নিয়ে বাংলার মানুষ, কলকাতার মানুষ চিন্তা করছে। এটা অনেক বড় প্রাপ্তি। আমি বাংলা মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানাবো বিষয়টিকে তুলে ধরার জন্য। তিনি আরো বলেন, “আমাদের এখানে থেমে থাকলে চলবে না। ভারতবর্ষের প্রতিটি হিন্দুকে বাংলাদেশের হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *