আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১ জুলাই: দুই দুঃস্থ পরিবারের রোগীর অস্ত্রপচারের দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসা করালেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। অস্ত্রপচারে সুস্থ হয়ে ওঠায় খুশি রোগীর পরিবার।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের মুরারই বিধানসভার পলসা অঞ্চলের সাফোয়া গ্রামের বাসিন্দা রকি শেখের ছয় বছরের মেয়ে মুস্কান খাতুনের হাত ভেঙ্গে যায় বছর চারেক আগে। সেই সময় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হাতে রড ঢুকিয়ে অস্ত্রপচার করা হয়। বর্তমানে মেয়ের হাতে রড নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন রকি শেখ। কারণ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হাতের রড বের করার নিয়ম নেই। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন রকি শেখ। বিষয়টি দলীয় কর্মী আরমান শেখ এবং বিপ্লব মণ্ডলের মাধ্যমে জানতে পারেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তৎক্ষণাৎ তিনি চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে সম্মত হন।
একই ভাবে নলহাটি বিধানসভার প্রতিবন্ধী পিজুস শেখের স্ত্রী মঞ্জু খাতুনের পক্ষাঘাতে ডান হাত অবশ হয়ে যায়। অথচ ওই মঞ্জুই পরিচারিকার কাজ করে সংসারের হাল ধরেছিলেন। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে অসহায় হয়ে পড়েছিল পরিবার। তাদের পাশে দাঁড়ান কাজল শেখ। দুই রোগীর অস্ত্রপচার করানো হয় রামপুরহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ত্রিপুরার আগরতলার বিশিষ্ট অর্থপেডিক চিকিৎসক রজত কুমার দাস সোমবার তাদের অস্ত্রপচার করেন। দু’জনেই সুস্থ হয়ে ওঠায় মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় ছোট্ট মুস্কান খাতুনকে। দু’-একদিনের মধ্যে ছুটি দেওয়া হবে মঞ্জুকেও।
অস্ত্রপচারে প্রিয়জন সুস্থ হয়ে ওঠায় খুশি দুটি পরিবার। রকি বলেন, “আমি পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করি। ফলে মোটা টাকা খরচ করে মেয়ের হাত থেকে রড বের করার সামর্থ্য আমার ছিল না। সভাধিপতি এগিয়ে আসায় মেয়ের চিকিৎসা সম্পূর্ণ হলো।”
অনেকটা একই বক্তব্য শোনা গেল পীযূষ শেখের কাছ থেকে। যদিও সভাধিপতি জানিয়েছেন, মানুষের পাশে থেকে কাজ করাই আমার নেশা। সভাধিপতি হওয়ায় সেই দায়িত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। সেই দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।