Madhyamgram, বিছানায় পড়ে প্রাণহীন শিশুকন্যা, রান্নাঘরে মায়ের দেহ, মধ্যমগ্রামে ভয়াবহ ঘটনা

সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১ মার্চ: মধ্যমগ্রাম, ট্যাংরা কাণ্ডের পর একের পর এক হাড়হিম করা ঘটনা ঘটে চলেছে রাজ্যে। শুক্রবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের দোহারিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হলো মা ও শিশু কন্যার দেহ। বিছানায় পড়ে প্রাণহীন শিশুকন্যার দেহ পাশের রান্না ঘর থেকে উদ্ধার হল মায়ের দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম প্রিয়াঙ্কা দাস (২৫)। এই ঘটনা খুন না আত্মহত্যা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে দরজা ভেঙ্গে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রথমে বিছানার মধ্যে পাঁচ বছরের মেয়ে প্রশংসা দাসের দেহ উদ্ধার হয়। তারপর রান্না ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায় ২৫ বছরের গৃহবধূ প্রিয়াঙ্কা দাসের দেহ। দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে, সেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করে।

গৃহবধূর স্বামী সুমন দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। তাতে উল্লেখ রয়েছে ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে তাঁদের।

সন্দেহজনকভাবে গৃহবধূর দেহে কেরোসিন তেলের উপস্থিতি মিলেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মহিলার স্বামীর দাবি, তাঁর সঙ্গে বিকেল বেলাও কথা হয়েছে স্ত্রী-র। একেবারেই স্বাভাবিক কথোপকথন। কোথাও কোনও অস্বাভাবিকতা নজরে আসেনি। সকাল সকাল যে মহিলাকে হাসিমুখে দেখেছেন, তিনি এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন বলে মানতে পারছেন না কেউই। স্বামী বলেন, তিনিও ভাবতে পারেন না, কোনও মা শিশুকে খুন করতে পারে। আসলে কি আত্মহত্যারই ঘটনা? নাকি কেউ মা ও শিশুকে হত্যা করেছে? রহস্যের সমাধান হতে পারে দেহের ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *