ভূমি সংস্কার, ভূমি রাজস্ব ও জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তর ঘুঘুর বাসা, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১২ ফেব্রুয়ারি: পৌরসভা ভোটের আগে সম্ভবত বাঁকুড়ায় শেষ প্রশাসনিক বৈঠকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ভূমি সংস্কার দপ্তর ও পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুই দপ্তরের কাজে যে তিনি মোটেই খুশি নন এদিন তাঁর কথাতেই তা স্পষ্ট। বুধবার বাঁকুড়া শহরের রবীন্দ্র ভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে ভূমি সংস্কার, ভূমি রাজস্ব দপ্তর ও জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরকে ‘ঘুঘুর বাসা’ বলে অভিহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর কার্যত নীরব থাকেন জেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা। তবে এই দুই দপ্তরের বিরুদ্ধে মুখ খুললেও জেলা প্রশাসনের সামগ্রিক কাজকর্মে সন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

জানুয়ারি মাসে বাঁকুড়ার সারেঙ্গায় জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের তৈরী করা একটি জলের ট্যাঙ্ক নির্মাণের বছর তিনের মধ্যে ভেঙ্গে পড়ে। ঐ ঘটনায় কোনও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের দায়িত্বশীল ভূমিকা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সভায় এই প্রসঙ্গ তুললে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের ঐ ঠিকাদারি সংস্থাকে ‘কালো তালিকাভূক্ত’ করার কথা বলেন। একই সঙ্গে তাদের ভবিষ্যতে কোনও কাজের বরাত দেওয়া হবে না বলে জানালেও খুশী নন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্টতই বলেন, ঐ সংস্থাকে ঐ ট্যাঙ্ক পুনঃনির্মাণ করে দিতে হবে, একই সঙ্গে সংস্থাটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন তিনি।

অন্যদিকে তিন পৌরসভার কাজও যে সন্তোষজনক নয় তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিষ্ণুপুর ও বাঁকুড়া এই দুই পৌরসভার পৌর প্রধানদের কাজ ও জনসংযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে দুই পৌর প্রধানের উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় কড়া ভাষায় ধমকও দেন মুখ্যমন্ত্রী। সাত দিনের মধ্যে বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়ন সংক্রান্ত বাধা ও জটিলতা কাটিয়ে জেলার কাজের গতি ফেরাতে নির্দেশ দেন বিভাগীয় দপ্তর ও জেলাশাসককে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *