আমাদের ভারত, কলকাতা ১২ জানুয়ারি: স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে “ক্রীড়া ভারতী” ও “সক্ষম” দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের যৌথ ব্যবস্থাপনায় সল্টলেকের পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (ই জেড সি সি) তে আজ আয়োজিত হয় দু’দিনের ক্রীড়া সম্মেলন। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বিকাল চারটেয় ভারত মাতা, স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শিবনাথ মুখার্জি , এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ চৌধুরীর (ক্রীড়া ভারতীয় অখিল ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক), মধুময় নাথ (ক্রীড়া ভারতীর অখিল ভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক), এছাড়া কল্যাণ চৌবে (এ আই এফ এফ)- এর সর্ব ভারতীয় সভাপতি) প্রাক্তন ফুটবলার মেহতাব হোসেন, দীপঙ্কর রায়, পর্বত আরোহী দেবাশিস বিশ্বাস, বিশ্বজিৎ পালিত সহ ক্রীড়া ভারতী এবং ডাঃ অরবিন্দ ব্রহ্ম, ডাঃ সাত্যকি দাস, অনিখ ব্যানার্জি সহ সক্ষমের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এআইএফএফ- এর সভাপতি কল্যাণ চৌবে তাঁর বক্তব্যে বলেন, ছাত্র ছাত্রীদের জীবনে পরিবারের অবদান সবথেকে বেশি, তাই ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ছাত্র ছাত্রীদের তার পরিবারের অনুশাসন ও সম্মান রক্ষা করতে হবে। এছাড়া জীবনে উন্নতি করতে হলে অন্যের বিরুদ্ধে অজুহাত ও অভিযোগ বর্জন করতে হবে। কোনও কাজের জন্য নিজের সর্বস্ব পর্যন্ত দিয়ে দিতে হবে, তাতে যদি শেষ পর্যন্ত পরাজয় হয়, সেই পরাজয়ও সম্মানের। তিনি ক্রীড়া প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্য বলেন, “খেলাকে যদি যুদ্ধ বলে মনে করো, তবেই সেই যুদ্ধে খেলার মাধ্যমে জয়ী হতে পারবে।” এছাড়া তিনি বর্তমানে এশিয়ান গেমস ও অলিম্পিকে ও বিশেষত প্যারা অলিম্পিকে ভারতের অভাবনীয় সাফল্যের কথা তুলে ধরেন এবং এই সাফল্যের পেছনে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ও ক্রীড়া ভারতীর অবদান স্মরণ করিয়ে দেন।
ক্রীড়া ভারতীর অখিল ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাজ চৌধুরী বলেন, খেলোয়াড়দের জীবনে অনুশাসনই প্রধান। তিনি উল্লেখ করেন, হেলথ ইনডেক্সে ভারতবর্ষ অনেক নিচের দিকে আছে। সেখানে উন্নতি করতে হলে
ভারতীয়দের রোজ সকাল বিকেল শরীর চর্চা ও প্রাতঃ ভ্রমণ ও সান্ধ্য ভ্রমনের উপর জোর দিতে হবে।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডাক্তার অরবিন্দ ব্রহ্ম এবং বিপ্লবী পুলিন বিহারী দাসের নাতি বিশ্বরঞ্জন দাস। এদিন সকাল থেকে নিউটাউন ডি এফ ময়দানে বিদ্যালয় স্তরের যুবক- যুবতীদের প্রতিযোগিতা মূলক ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়। কুড়িটি দল অংশগ্রহণ করে পরে স্ব- আত্মরক্ষার মহরা দেখায় ষোল স্থান থেকে আসা যুবক যুবতীরা।