আমাদের ভারত, ১২ জানুয়ারি: বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর চান বাংলার জন বিন্যাসের বদল হোক।
পাসপোর্ট দুর্নীতির বিরাট চক্রের হদিস মিলেছে। সেই চক্রের একের পর এক পান্ডা গ্রেফতার হচ্ছে। এক্ষেত্রে অনুপ্রবেশকারীদের পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে এবং এখানে বসবাস করতে পরোক্ষে সাহায্য করছে তৃণমূলের নেতারা। এই অভিযোগে বার বার সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি, ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে এই অনুপ্রবেশকারীদের পশ্চিমবঙ্গের সীমানা দিয়ে ঢুকতে সাহায্য করে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। কিন্তু এর ফলে রাজ্যের জনবিন্যাসে বিরাট বদল এসেছে। বেশ কিছু জেলায় সংখ্যালঘুরা সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়েছে। এর জন্য তৃণমূল নেত্রীকেই দায়ী করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চান বাংলা ডেমোগ্রাফি চেঞ্জ হোক। কিন্তু উনি বুঝতে পারছেন না বাংলার ডেমোগ্রাফি চেঞ্জ হলে হয়তো ওনার দল কিছুদিন ক্ষমতায় থাকবে, কিন্তু তারপর আর কোনো মামা বাড়ির আবদার চলবে না। মুখ্যমন্ত্রীর সিট থেকে এইসব ব্যানার্জি, চ্যাটার্জি, ঘোষ, বোস সবাইকে লাথি মেরে বের করে দেবে। তখন ওইখানে শওকত মোল্লা ফিরহাদ হাকিম- এর মত লোকেরাই বসবেন। তখন ব্যানার্জি পরিবারেরও দাম থাকবে না।”
অন্যদিকে বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিএসএফ সীমান্ত হাই এলার্টে রয়েছে। তাঁর কথায়, বাংলাদেশ একটা ফাঁদ। তাতে আমাদের পা না দেওয়াই ভালো। তাতে ভারতের অর্থনীতির যে উন্নতি সেটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিষয়টিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নজরে রাখছে। চিন্তার কোনো কারণ নেই। ভারতীয়দের ভয়ের কোনো কারণ নেই। ভারতের সীমানায় ভারতের যা যা করার ভারত সেটা করবে। তাতে বাধা দিতে সাময়িকভাবে কেউ চেষ্টা করতে পারে। মালদাতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু সেখানে কাঁটাতারের বেড়া হয়ে গেছে। বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বলেছিল গুলি চালাবে, কিন্তু তারা চালাতে পারেনি। তারা গুলি চালাবেও না।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ভারতবর্ষের উন্নয়নের যে গতি চলছে, তাতে ভারত পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি থেকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দিকে এগিয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতবর্ষ এই ধরনের কোনো ফাঁদে কখোনই পা দেবে না। সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে ভারতবর্ষের অবস্থান এবং বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় সেটা সকলেই জানে। বাংলাদেশের কিছু মানুষ অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না। ভারতের যা করার ভারতবর্ষ করছে। একমাস অপেক্ষা করুন দেখতে পাবেন।