আমাদের ভারত,১৭ জুন: ইরানে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেইয়ের পরিণতি হবে সাদ্দাম হোসেনের মতো। স্পষ্ট ভাষায় এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলো ইজারেয়লের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কাটজ। নাম না করে খামেনেইকে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের স্বৈরাচারী শাসকের পরিণতি যেন না ভোলে ইরান।
মঙ্গলবার কাটজ বলে দিয়েছে, ইরানে স্বৈরশাসকরা যদি যুদ্ধ বন্ধ না করে আর ইজরাইলের সাধারণ জনগণের ওপর হামলা বন্ধ না হয়, তাহলে ইরানের স্বৈরশাসকের অবস্থা প্রতিবেশী দেশের শাসকের মতই হবে। কাটজের বক্তব্য, ইজরাইল শুধু ইরানের সেনা ঘাঁটি এবং পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রগুলিকে নিশানা করছে। তেহেরানের সাধারণ নাগরিকদের উদ্দেশ্যে ওই এলাকার আশেপাশে জনবসতি খালি করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
ইজরাইলের বিদেশ মন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, ইজরাইলের নিরীহ নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়ে যুদ্ধপরাধ করেছে ইরান। আর সেটার শাস্তি হিসেবে খামেনেইয়ের পরিণতি হবে সাদ্দাম হোসেনের মতো।
সাদ্দাম হোসেন ইরাকের ৪ দশকের শাসক। ২০০৩ সালে সাদ্দামকে ক্ষমতাচ্যুত করে আমেরিকা। ২০০৬ সালে গণহত্যার অভিযোগে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয় মার্কিন মদত পুষ্ট সরকার। মৃত্যুর আগে সাদ্দাম ইরাকের এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছিল। ইজরাইলের হুঁশিয়ারি খামেনেইয়ের পরিণতিও তেমনই হবে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, খামেনেইয়ের মৃত্যু হলে তবেই থামবে ইরান- ইজরাইলের যুদ্ধ।
প্রশ্ন উঠেছে খামেনেইকে নিকেশ করাই কি এই মুহূর্তে ইজরাইলের মূল উদ্দেশ্য? গত শুক্রবার ইরানে সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশ পথে হামলা চালায় ইজরায়েল। তাতে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্তাদের একের পর এক মৃত্যু হয়। সেই তালিকায় রয়েছেন ইরান সেনার চিক অফ স্টাফ মোহাম্মদ বাঘেরি। পাশাপাশি ৯ জুন পরমাণু বিজ্ঞানীকে নিখুঁত পরিকল্পনা করেই হত্যা করে ইসরায়েল। এই হামলার পাল্টায় ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা ইজরায়েলে বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা করেন।