আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ১৪ ফেব্রুয়ারি: অনেক বড় বড় নেতা এখন উঠেছে, তারা বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে। বলছে নানুরে এই করেছি ওই করেছি, তাদের বলব একটু খতিয়ান সাবমিট করতে। আবার কোনো নেতা মন্ত্রী নতুন উঠেছে। তারা দলীয় কার্যালয় থেকে বসে বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে। তাদের বলবো তোমাদের ব্যাকগ্রাউন্ডগুলো একটু তুলে ধরো।” বীরভূমের নানুরে বাসাপাড়া থেকে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে ফের বিস্ফোরক বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়েজুল হক ওরফে কাজল শেখ।
শুক্রবার নানুরের বাসাপাড়া এলাকায় শহিদ তৃণমূল নেতা সোনা চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন কাজল শেখ, নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাজি, ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতা কর্মীরা।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কাজল শেখ। তিনি বলেন, “অনেক বড় বড় নেতা এখন উঠেছে, তারা বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে। বলছে নানুরে এই করেছি, ওই করেছি, তাদের বলবো একটু খতিয়ান সাবমিট করুন। আবার কোনো নেতা- মন্ত্রী নতুন উঠেছে। তারা দলীয় কার্যালয় থেকে বসে বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে। তাদের বলবো তোমাদের ব্যাকগ্রাউন্ডগুলো একটু তুলে ধরো। দলটা কাজল শেখ ১৯৯৩ সাল থেকে করছে। অনেক মিথ্যা কেস আমাকে দেওয়াও হয়েছে।” কাকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য? প্রশ্নের কোন উত্তর মেলেনি। এই মন্তব্য যে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে সেটা মেনে নিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে বোলপুর যাওয়ার পথে খুন হন নানুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা সোনা চৌধুরী। তাঁর জন্যই এদিন স্মরণসভার আয়োজন করা হয় নানুরের বাসাপাড়ায়। সেই সভাতে কাজল শেখ আরো বলেন, “শহিদদের মনে রাখা উচিত। আমি তৃণমূলের সব স্তরের নেতাদের বলবো শহিদদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। আমিও দাঁড়াই, আপনারাও দাঁড়ান। এখন অনেক বড় বড় নেতা উঠেছে, তারা শহিদদের কথা মনে রেখেছে কিনা আমার জানা নেই। তবে আমি শহিদদের বাড়ি বাড়ি যাই এবং তাদের পাশে থাকি।”