Sukanta, BJP, দোল যাত্রা উদযাপনে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেওয়ায় হিন্দুদের উপর আক্রমণ, বীরভূমের ঘটনায় সরব সুকান্ত

আমাদের ভারত, ১৫ মার্চ: দোলযাত্রা পালনের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়ার জন্য তাদের উপর নির্মম আক্রমণ চালানো হয়েছে। ঘটনায় পুলিশ নিরব দর্শক ছিল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতিকে দায়ী করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতার জন্যেই এই আক্রমণ হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের উপর ভয়াবহ আক্রমণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। তাঁর দাবি, তোষণের রাজনীতি’র মাধ্যমে সনাতন ধর্মকে মুছে ফেলার এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্র চলছে রাজ্যে। আর দোল পূর্ণিমাতেও সেই ঘৃণা অব্যাহত ছিল। দোল যাত্রা উদযাপন এবং ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেওয়ার জন্য হিন্দুদের উপর নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়েছে বীরভূমের আনাইপুর গ্রামে। তিনি লিখেছেন, জিহাদি জনতা দোল যাত্রার সময় হিন্দু পরিবারগুলির উপর আক্রমণ চালায়। হিন্দুদের বাড়ি বেছে বেছে এই আক্রমণ করা হয়। কেবল নিজ ধর্মের উৎসব পালনের জন্য নিরীহ গ্রামের মানুষ আক্রান্ত। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ এই ঘটনার নীরব দর্শক ছিল। নির্যাতিতদের রক্ষা করার জন্য কোনো পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। উল্টে ডিজিপি সত্যকে চাপা দেওয়ার জন্য এই অঞ্চলে মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, সরকার কেন অপরাধীদের আশ্রয় দিচ্ছে? তাঁর দাবি, এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি পরিকল্পিতভাবে পশ্চিমবঙ্গকে ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’-এ পরিণত করার একটি বৃহত্তর, বিপজ্জনক এজেন্ডার অংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসন কালে, পশ্চিমবঙ্গ ক্রমশ বাংলাদেশের মতো হয়ে উঠছে।

সুকান্ত মজুমদার হুঁশিয়ারি দিয়ে লিখেছেন, “আমরা চুপ করে থাকব না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতি আমাদের চূড়ান্ত সতর্কীকরণ: যদি অবিলম্বে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে বিজেপি উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনার তোষণ বন্ধ করুন এবং হিন্দুদের রক্ষা করুন, অথবা উপযুক্ত প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন।”

অন্য আর একটি পোস্টে ভিডিও সহ তিনি জানান, গতকাল, নানুর বিধানসভা কেন্দ্রের কীর্ণাহার থানার অন্তর্গত আনাইপুর গ্রামে দোল পূর্ণিমার উৎসব চলাকালীন একটি আক্রমণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে এই আক্রমণটি ঘটে। যেখানে “জয়
শ্রীরাম” স্লোগান দেওয়ার জন্য হিন্দুদের উদ্দেশ্যে মুসলিমরা প্রশ্ন তোলে, “তোমাদের এই স্লোগান তোলার সাহস কিভাবে হয়?”। আশ্চর্যজনকভাবে, পুলিশের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও, আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে এবং সহিংসতা রোধ করার পরিবর্তে, আইন প্রয়োগকারীরা আক্রমণকারীদের রক্ষা করে বলে জানাগেছে। ঘটনার ভিডিওগুলিতে হিন্দুরা দাবি করছে যে, পুলিশ পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তাদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে এই ঘটনায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি লিখেছেন, ভারত ইউনিয়ন মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে, অনির্দিষ্ট কালের জন্য ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা অবৈধ। এই ধরণের পদক্ষেপ প্রয়োজনীয়তা এবং আনুপাতিকতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী ব্যাখ্যা করতে পারেন যে চলমান পরীক্ষার সময় ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা ন্যায্যতা? কে আসলে বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *