আমাদের ভারত, ১৬ ডিসেম্বর: “মনে হচ্ছে বাংলাদেশের বড় বড় পদে যত হিন্দু আছেন, তাঁদের সবাইকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে”। সোমবার সামাজিক মাধ্যমে এই মন্তব্য করলেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
তিনি লিখেছেন, “গত চার- পাঁচ মাসে অগুনতি হিন্দু নারী- পুরুষকে তাঁদের পদ থেকে জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরিয়ে দেওয়ার জন্য কতগুলো অযৌক্তিক এবং হাস্যকর কারণ দেখানো হয়েছে। শিশির ভট্টাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক, শুধু অধ্যাপকই নন, ইন্সটিটিউটের পরিচালকও ছিলেন। তাঁকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইনস্টিটিউটের বীর জিহাদি শিক্ষার্থীরা। শিশির ভট্টাচার্যের একটি ফেসবুক পোস্ট পড়ে নাকি তাদের জিহাদোনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। আঘাতের শুশ্রূষা করতে হলে কী করতে হবে? শিশির ভট্টাচার্যকে পদচ্যুত করতে হবে।
কিছুদিন আগে সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন শিশির ভট্টাচার্য। তিনি লিখেছেন, ‘আসাদও পালালো?’ প্রশ্ন শুনে এক আরবি বন্ধু বললো: ‘অবাক হচ্ছো কেন, পালানোতো সুন্নত (আরব দেশে মহাপুরুষদের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত)!’ পোস্টটিতে শিশির ভট্টাচার্য তাঁর এবং তাঁর এক আরব-বন্ধুর খুব সংক্ষিপ্ত একটি বাক্যালাপ তুলে ধরেছেন। এই কৌতুকময় সত্য উচ্চারণের কারণে কারও জিহাদোনুভূতিতে আঘাত লাগলে সেটা জিহাদোনুভূতির দোষ, বাক্যালাপের দোষ নয়, বাক্যালাপ যারা করেছে, তাদেরও দোষ নয়। ছলে বলে কৌশলে জিহাদিরা দেশকে হিন্দুশূন্য করছে।”