বাংলায় জেহাদি রাজত্ব চলছে, নিহত সৈকতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করে বললেন বিজেপি জেলা সভাপতি উমা শঙ্কর সিং

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৪ নভেম্বর: “বাংলায় সংবিধান বলে কিছু নেই, জেহাদি রাজ চলছে।” হালিশহরে খুন হওয়া বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়ালের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের সমালোচনায় মুখর হলেন বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উমা শঙ্কর সিং। এদিন মৃতের পরিবারের সদস্যদের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তিনি।

সোমবার দুপুরে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উমা শঙ্কর সিং, বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, সুনীল সিং, পবন সিং, ফাল্গুনী পাত্র সহ বিজেপির এক প্রতিনিধিদল সৈকত ভাওয়ালের বাড়িতে গিয়ে মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। নিহত সৈকত ভাওয়াল ওই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে যুবক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়ছে সৈকত ভাওয়ালের পরিবার। মাত্র ১ বছর আগে বিয়ে করেছিল সৈকত। তার মৃত্যুতে শোকে কাতর তাঁর আত্মীয় স্বজনরা।

গত শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপির গৃহ সম্পর্ক অভিযান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হন সৈকত ভাওয়াল। তাকে প্রকাশ্যে লোহার রড, উইকেট, বাঁশ, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। শাসকদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি। এই খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে বীজপুর থানার পুলিশ। যদিও সৈকত ভাওয়াল খুনের ঘটনায় ধৃতদের ব্যারাকপুর আদালত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার হতবাক হন বিজেপি কর্মীরা। তারা প্রশ্ন তোলেন, কেন এই নৃশংস খুনের ঘটনায় পুলিশ আসামিদের নিজেদের হেফাজতে নিল না।

আজ সৈকত ভাওয়ালের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে ব্যারাকপুরের সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি উমা শঙ্কর সিং সাংবাদিকদের বলেন, “এই যে তরতাজা প্রাণ চলে গেল, ওর কি দোষ ছিল? ও বিজেপির গৃহ সম্পর্ক অভিযানে অংশ নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে বিজেপির নীতি আদর্শ মানুষকে বোঝাচ্ছিল, এটা কি কোনও অপরাধ? এখানে গণতন্ত্র নেই। সংবিধান বলে কিছু নেই বাংলায়। বাংলায় পাকিস্তানের সংবিধান চলছে। জেহাদি শাসন চলছে। ওদের বাড়িতে এসে ওদের পাশে থাকার কথা বলেছি আমরা। সামান্য অর্থ সহায়তা করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। ওর ভাইয়ের যদি কোনও সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করতে পারি, দেখব আমরা। এই অসহায় পরিবারের পাশে বিজেপি আছে, থাকবে। সৈকতের খুনের ঘটনাই শেষ, এরপর রক্ত ঝরলে আবার বলছি দুই পক্ষের ঝরবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *