পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ জানুয়ারি: সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের দারিদ্রতার কারণে মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে অনেক সময় আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই বলে কি মেয়ের বিয়ে দেবেননা তারা মা বাবারা। তাই জঙ্গলমহলের দরিদ্র পিতামাতার চোখের জল মুছিয়ে দিতে গণবিবাহ উৎসবের আয়োজন করলো আম্মা জনসেবা পরিষদীয় ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭ দিন ধরে গ্রামীণ আনন্দমেলা, সেই সঙ্গে মেলার শেষ দিনে এই গণবিবাহ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
সংগঠনের সদস্যদের কথায়, গত বছর ১১ জোড়া পাত্র- পাত্রীর পর এই বছর ২১ জোড়া পাত্র পাত্রীর বিবাহের আসর বসতে চলেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ব্লকের অন্তর্গত সাতপাটি গ্রামে। সাতপাটি স্কুল ফুটবল ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে সাত দিন ধরে গ্রামীণ আনন্দমেলা ও গণবিবাহ উৎসব। থাকছে গায়ে হলুদ, মালাবদল, ভুড়িভোজ, ছাদনাতলা থেকে শুরু করে দান সামগ্রী সবই। আর এই উৎসবে নানান হেভি ওয়েট নেতা মন্ত্রী বা প্রশাসনিক অধিকারিকরা তো থাকছেনই সেই সাথে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে বিদেশ থেকে আসছেন মাদার টেরিজার স্নেহধন্য বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং আইআইএমসি’র ডিরেক্টর ডঃ সুজিত কুমার ব্রহ্মচারী।
উদ্যোক্তাদের কথায়, “সম্মন্ধ করবেন আপনারা এবং বিবাহ দেবো আমরা” অর্থাৎ দারিদ্রসীমার নিচে থাকা পিতা মাতারা তাদের কন্যার সম্বন্ধ ঠিক করে আসলেই তাঁদের বিবাহের ব্যবস্থা করে দেবে আম্মা জনসেবা পরিষদীয় ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নাম এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তবে অবশ্যই পাত্র এবং পাত্রী উভয়কেই হতে হবে বিবাহ যোগ্য।