হাতির আক্রমণে জঙ্গল লাগোয়া এলাকার গ্রামবাসীদের মৃত্যু ঠেকাতে পাঁচটি পশুপ্রেমী সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক জলপাইগুড়ি বনবিভাগের

আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৭ ফেব্রুয়ারি: হাতির আক্রমণে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামবাসীদের মৃত্যু ঠেকাতে নড়েচড়ে বসল জলপাইগুড়ি বনদফতর। নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। পাঁচটি পশুপ্রেমী সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসলেন জলপাইগুড়ি বনবিভাগ।

এ দিন অরণ্যভবনে বৈঠক করে হাতির করিডর নিয়ে আলোচনা হয়। যে সব এলাকা হাতির করিডর হিসেবে পরিচিত সেই সময় এলাকায় ম্যাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন পড়ুয়াদের পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া ও বাড়িতে পৌঁচ্ছে দেওয়ার কাজ করবে বনদফতর। সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক এলাকা হাতির করিডর হিসেবে পরিচিত মরাঘাট এলাকা। ইতিমধ্যে ২৫টি গাড়িতে করে পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আরও দশটি গাড়ি জেলা প্রশাসনের কাছে চাওয়া হয়েছে বলে দাবি বনদফতরের।

অন্যদিকে কিছু জঙ্গল এলাকার রাস্তায় ড্রপ গেট করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে। অনুমতি পেলেই দ্রুত ড্রপ গেট করা হবে বলে দাবি বনদফতরের।

এদিকে বৈঠকে উপস্থিত থাকা সেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে মানসবন্ধু মজুমদার বলেন, “খুবই ভালো উদ্যোগ। সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সকলে ছিলাম। আমাদের সকলকে নিয়ে একটি সমাজমাধ্যমের গ্রুপ করা হচ্ছে। আমাদের অভিজ্ঞতা নেওয়া হয় সকলে মিলে কাজ করব।”

জলপাইগুড়ির বনাধিকারীক (ডিএফও) বিকাশ বিজয় বলেন, “মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করা হল হাতি আক্রমণ রুখতে। ১৬টি হাতির করিডর চিহ্নিত করা হয়েছে। সবচেয়ে স্পর্শকাতর মরাঘাট এলাকা। সেই সব এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার করা হচ্ছে। ওই এলাকার আশেপাশে ১৩টি বেশি হাতি রয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন এলাকায় বাড়তি বনকর্মীদের নজরদারি করা হচ্ছে। ড্রপ গেট করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্যে করা হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *