আমাদের ভারত, ১১ নভেম্বর: দেখে মনে হচ্ছে তৃণমূল ভারতের বিরুদ্ধেই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শিয়ালদহ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে তৃণমূলের দলীয় পদে রদবদলের বিষয়টিকেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।
রবিবার নিজের সংসদীয় এলাকায় বালুরঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার শিয়ালদায় অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে তৃণমূল সরকারকে বেঁধেন। তিনি বলেন, কখনো বোমার মাল- মশলা, কখনো গুলি- বন্দুক উদ্ধার। দেখে শুনে মনে হচ্ছে তৃণমূল বোধ হয় ভারতের বিরুদ্ধেই যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। না হলে একের পর এক এত অস্ত্রশস্ত্র আসছে কোথা থেকে?
অন্যদিকে তৃণমূলের সাম্প্রতিক সময়ের দলীয় পদে রদবদল প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক কারণে দলীয় স্তরে নেতৃত্বের পরিবর্তন করে না। তাদের প্রচুর উপরের লোককে টাকা পাঠাতে হয়। তাছাড়া ওদের দলের দলনেত্রী তো বলে দিয়েছেন, উপরে পাঠিয়ে তবে নিজেরা যেন খায়। তাই সবাইকে ভাগ করে খাওয়ার জন্য কাউকে ৬ মাস বা কাউকে এক বছর রোটেশন পদ্ধতিতে পদে নিচ্ছে তৃণমূল দল। তাঁর কথায়, সরকারি যোজনাগুলি তৃণমূল নেতাদের পয়সা কামানোর রাস্তা।
পাশাপাশি কাঁথিতে এক মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এক তৃণমূল নেতার গ্রেফতারের ঘটনা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটাই তৃণমূলের কালচার। ওই মহিলা সাহস করে বলতে পেরেছেন দেখে বিষয়টি সবাই জেনেছে। কিন্তু এমন অনেক ঘটনাই অজানা থেকেছে। এটি তাদের মনোরঞ্জন করার একটি সুন্দর পথ, যা বাংলার মানুষ তৃণমূলের সন্দেশখালি মডেল বলে চিনেছে ও জেনেছে।”
একই সঙ্গে শিক্ষা দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাই সব দোষ করেছেন এই কথা তিনি মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, তিনি কেন বাংলার কোনো লোক বিশ্বাস করে না পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাই দুর্নীতি করার সাহস দেখিয়েছেন। এর পেছনে পাকা ও বড় মাথা আছে। সিবিআই আসল মাথা বের করুক সেটাই দাবি করা হচ্ছে।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকছে। হ্যাকারের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্য সরকারটাই যে কি করে চলছে বোঝা দেয়। দেখে শুনে মনে হচ্ছে রাজ্য সরকারটাই হ্যাক হয়ে গিয়েছে, তাই এসব হয়ে চলেছে।