আমাদের ভারত, ২০ ফেব্রুয়ারি: নেতা তৈরি করার জন্য স্কুল গড়া হচ্ছে ভারতে। রাজনীতি, সমাজনীতি ও জননীতি নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভবিষ্যতের নেতা তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দেশের এটাই প্রথম নেতৃত্ব তৈরির করার প্রতিষ্ঠান হতে চলেছে। এটি বেসরকারিভাবেই পরিচালিত হবে। জানাগেছে, নরেন্দ্র মোদীর চিন্তাভাবনার থেকে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্কুল অফ আল্টিমেট লিডারশিপ বা SOUL গুজরাটে তৈরি হতে চলেছে।
জানাগেছে, প্রতিষ্ঠানে ভারতের প্রাক্তন অর্থ সচিব হাসমুখ আদিয়া নিযুক্ত হয়েছেন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে। তিনি বর্তমানে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের প্রধান উপদেষ্টা। নয়া দিল্লিতে SOUL- এর নেতৃত্ব সম্মেলনের উদ্বোধন পর্বে আনুষ্ঠানিকভাবেই প্রতিষ্ঠানের ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করবে ২০২৭ সালের মার্চ থেকে বলে জানাগেছে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ছয় শিল্পপতি যুক্ত রয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সম্পূর্ণভাবে বেসরকারি অনুদানে ট্রাস্ট ও কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি ফান্ডিং- এর মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হবে বলে জানাগেছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনো পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে টাকা বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, টরেন্ট পাওয়ার, ডিএসপি ইনভেসমেন্ট ম্যানেজার, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, jsw ফাউন্ডেশন, কেএফ ট্রাস্ট, সান ফার্মা এবং জাইডাস লাইফ সাইন্স- এর মত হেভিওয়েট শিল্প সংস্থা পক্ষ থেকে।
২০২৪ সালের স্বাধীনতা দিবসের দিন দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছিল ভারতের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় একলাখ নতুন মুখ আনার কথা। তিনি বলেছিলেন, মেধা ও নিষ্ঠার ভিত্তিতে নতুন নেতা তৈরি করার কথা। এরপর ২০২০ সালে গৃহীত হয় এই পরিকল্পনা। বাইশ একর জমির উপরে ক্যাম্পাস তৈরি হবে। গুজরাট গিফট সিটি রোডে বায়োটেকনোলজি ইউনিভার্সিটির কাছে এই প্রতিষ্ঠানের জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। বেসরকারি উদ্যোগে এই সংস্থা স্বাধীনভাবে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে প্রশিক্ষণ দেবে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে আগামী দিনের যোগ্যতা ও জনসেবার মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা নেতৃত্ব দিতে উঠে আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে। শুরুতে কম সময়ের জন্য ওয়ার্কশপ ও সেমিনার পরিচালনার চিন্তা থাকলেও পরবর্তীতে ৯ থেকে ১২ মাস মেয়াদী বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হবে এই প্রতিষ্ঠানে বলে জানাগেছে।


এ খবরটা আমাদের পক্ষে সম্মানের না অসম্মানের সেটা বুঝতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।