World Bank, Poverty, ২০১২-২২ এর মধ্যে ভারতের ১৭.১ কোটি মানুষ চরম দারিদ্রতা থেকে বেরিয়ে এসেছে, রিপোর্ট বিশ্ব ব্যাঙ্কের

আমাদের ভারত, ২৭ এপ্রিল: ২০১১-১২ থেকে ২০২২-২৩- এর মধ্যে ভারত ১৭.১ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যতা থেকে বের করে আনতে পেরেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। আন্তর্জাতিক সংস্থার এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী যাদের দৈনিক আয় ২.১৫ মার্কিন ডলারের কম, তাদের চরম দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

গত দশকে ভারত দারিদ্রতাকে উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করেছে। ২০১১-১২ সালের ১৬.২ শতাংশ থাকা চরম দারিদ্র ২০২২-২৩ সালে ২.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ১৭.১ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার ওপরে উঠিয়েছে ভারত বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক তার গবেষণার প্রতিবেদনে।

গ্রামীণ চরম দারিদ্র ১৮.৪ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে চরম দারিদ্র ১০.৭ শতাংশ থেকে ১.১ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে গ্রাম ও শহরের ব্যবধান ৭.৭ শতাংশ থেকে ১.০০ শতাংশে নেমে এসেছে। যা বার্ষিক ১৬ শতাংশ হ্রাস।

নিম্ন মধ্যবিত্তের আয় শ্রেণি বিন্যাসেও ভারত উন্নতি করেছে বলে বিশ্ব ব্যাঙ্কের গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। যাদের দৈনিক আয় ৩.৬৫ মার্কিন ডলার, তাদের নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ভারতে দারিদ্র ৬১.৮ শতাংশ থেকে ২৮.১ শতাংশে নেমে এসেছে। ৩৭.৮ কোটি মানুষ দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি পেয়েছে।

গ্রামীণ দারিদ্র ৬৯ শতাংশ থেকে ৩২.৫ শতাংশে এবং শহুরে দারিদ্র ৪৩.৫ শতাংশ থেকে ১৭.২ শতাংশে নেমে এসেছে। পল্লীগ্রাম শহরে ব্যবধান ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা বার্ষিক ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

২০১১-১২ সালে ভারতে চরম দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী ৬৫ শতাংশ ছিল উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশের মতো জনবহুল
রাজ্যগুলিতে। ২০২২-২৩ সালের আগে চরম দারিদ্রতা হ্রাসে এই রাজ্যগুলির অবদান দুই তৃতীয়াংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *