আমাদের ভারত, ১১ জানুয়ারি: হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়। অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে প্রতিদিন কিছু না কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছে সীমান্ত এলাকায়। গত কয়েকদিন ধরে বেশ কিছুটা উত্তপ্ত সীমান্ত। এমনকি গুলিও চলেছে সেখানে। তার মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবির বাধা উপেক্ষা করে নিজেদের ফসল রক্ষা করতে অস্থায়ী কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে কুচলিবাড়ি সীমান্তের গ্রামবাসীরা। আর এই ঘটনা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের হুঙ্কার, ভারতবাসী চাইলে সব করতে পারে। বাংলাদেশের বোঝা উচিত ওদের ক্ষমতা কতটা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ভারতবাসী চাইলে সবকিছু করতে পারে। বাংলাদেশেরও বোঝা উচিত তাদের ক্ষমতা কতদূর।” তাঁর কথায়, একটা সমস্যা তৈরি করে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা তৈরির পরিকল্পনা চলছে। মূল উদ্দেশ্য, ভারতবর্ষের অর্থনীতিকে দুর্বল করা। ভারতবর্ষ এই ফাঁদে পা দেবে না। ভারত জানে কখন তাকে কি করতে হবে। যথা সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বিজিবির বাধা উপেক্ষা করে সীমান্তে কাঁটাতার দিয়েছে গ্রামের বাসিন্দারা। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের কুছলিবাড়িতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায়। বাংলাদেশি দুষ্কৃতিদের দৌড়াত্ব থেকে বাঁচতে নিজেরাই কাঁটাতারের বেড়ার সামগ্রী কিনে জিরো পয়েন্ট ধরে বেড়া দিতে যান গ্রামবাসীরা। সেই সময় বিজিবির তরফে গ্রামবাসীদের বাধা দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করে প্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া অস্থায়ীভাবে দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করেন তারা। ঘটনার জেরে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় গ্রামবাসীদের। যার ফলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় সীমান্ত এলাকায়। বেড়া দেওয়ার বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে কোনো যোগ না থাকলেও বিএসএফ জওয়ানরা স্থানীয় গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়ান।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাদের ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। সেই কারণে নিজেদের উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত তারা কাঁটাতাদের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গ্রামবাসীরা যখন নিজেদের জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছিলেন তখন বিজিবি বাধা দেয়। তাদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের বেশ কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি হয়। যদিও তাদের তোয়াক্কা না করে নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন সীমান্ত পারের ভারতের গ্রামবাসীরা। কৃষকদের উদ্যোগে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া লাগান তারা।