আমাদের ভারত, ১২ মে: জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্যালুট জানালেন ভারতের পরাক্রমী সেনা, সশস্ত্র বাহিনী, ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ও বিজ্ঞানীদের। একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিলেন নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেইল ভারত সহ্য করবে না।
মোদী বললেন, যখন দেশ একজোট হয় তখন সবার আগে দেশ আসে এবং তার ফল পাওয়া যায়। আর তাই যখন পাকিস্তানের মধ্যে থাকা সন্ত্রাসবাদকে গুঁড়িয়ে দিতে ভারত হামলা চালালো তখন শুধু সন্ত্রাসবাদী সংগঠনই নয়, তাদের মনোবলও গুঁড়িয়ে দেওয়া গেছে।
তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুর আমাদের দেশের সকল মা ও মহিলাদের উৎসর্গ করছি। পর্যটকদের নিজেদের স্ত্রী এবং বাচ্চাদের সামনে ধর্ম জিজ্ঞাসা করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আমার কাছে এটা ক্রুড়তা, হিংস্রতা। এই ঘটনার পর সকলে এক সুরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। জঙ্গিরা বুঝে গেছে যে, মা বোনেদের সিঁদুর মোছার পরিণাম কী হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে যত বড় বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে, সে সবই এক সুতোয় বাধা। ভারতের হামলায় সন্ত্রাসবাদের হেডকোয়ার্টারকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান হতাশ। ওরা নিরাশায় রয়েছে। আর ঠিক এই অবস্থায় ওরা আরো একটা ভুল করে ফেলেছে, সেটা হলো জঙ্গিবাদ দমনে ভারতকে সঙ্গ দেওয়ার বদলে উল্টে ভারতের ওপরে হামলা করেছে।
মোদীর কথায় আমাদের স্কুল, কলেজ, সাধারণ নাগরিকের বাড়িঘর, মন্দিরকে নিশানা করেছে পাকিস্তান। কিন্তু এখানে ওরা ব্যর্থ। গোটা দুনিয়া দেখলো কিভাবে পাকিস্তানের ড্রোন মিসাইল ভারতের হাতে ধ্বংস হলো। কার্যত আকাশে সেগুলিকে নষ্ট করে দেওয়া হলো। মাত্র তিন দিনে পাকিস্তানকে যা করা হয়েছে তা ওরা আসলে ভাবতেই পারেনি। এখন তাই ওরা বাঁচার জন্য রাস্তা খুঁজছে। অত্যন্ত খারাপ ভাবে মারা হয়েছে। যার ফলে গত ১০ মে পাকিস্তানি সেনা আমাদের ডিজিএমও’দের দ্বারস্থ হয়। তার আগে আমরা পাকিস্তানের মাটিতে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিয়েছি। ভারতে তৈরি অস্ত্র তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, আমাদের সেনাবাহিনী সদা সর্বদা সতর্ক। আকাশ থেকে জল এবং মাটি সর্বত্র আমরা প্রস্তুত। নিউ নর্মাল তৈরি করেছে দেশের সেনা। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আবার জবাব দেওয়া হবে। কোনো নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেইল ভারত সহ্য করবে না। প্রত্যেক যুদ্ধে আমরা পাকিস্তানকে পরাস্ত করেছি। অপারেশন সিঁদুরেও সেই একইভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছি আমরা। আর কোনভাবেই সন্ত্রাসবাদীদের চোখ রাঙানি সহ্য করা হবে না। পাকিস্তানকে যদি বাঁচতে হয় তাহলে ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামোকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে হবে।
মোদীর স্পষ্ট কথা, এবার পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হলে শুধু সন্ত্রাসবাদ নিয়েই কথা হবে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই কথা হবে। টেরর ও টক একসঙ্গে চলতে পারে না। জল ও রক্ত একইসঙ্গে বইতে পারে না। আজ বুদ্ধপূর্ণিমা আর শান্তির পথও যুদ্ধ দিয়েই হয়।