পাশে দাঁড়ায়নি ইসলামাবাদ, করোনা আতঙ্কে অসহায় পাকিস্তানীদের পাশে দাঁড়ালো ভারত

আমাদের ভারত,৭ ফেব্রুয়ারি: যেকোনো সময়ে গ্রাস করতে পারে করোনা ভাইরাস। ভয়ে ত্রস্ত চীনের উহান থেকে নিজেদের দেশে ফেরানোর আর্জি জানিয়ে চোখের জল ফেলছে অনেক পাক পড়ুয়ারা। কিন্তু তাতে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই ইসলামাবাদের। বরং তারা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে ওখান থেকে তাদের ফেরানো হবেনা। কারণ করোনা মোকাবিলা করার পরিকাঠামো নেই পাকিস্তানে। ফলে তাদের দেশে ফেরানো হবে না। তাই এবার চীনে আটকে পরা অসহায় পাক পড়ুয়া ও নাগরিকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত। ইতিমধ্যেই তাদের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার।

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে রবীশ কুমার বলেন, পাকিস্তানের তরফে উহানে আটকে পড়া তাদের দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে দিল্লির কাছে কোনো আবেদন করা হয়নি। কিন্তু তেমন পরিস্থিতি দেখা দিলে এবং প্রয়োজনীয় রসদ মজুত থাকলে ভারত বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখবে।

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে জর্জরিত চীন থেকে নিজেদের নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে ভারত সহ একাধিক দেশ। নেপাল বাংলাদেশ সহ একাধিক প্রতিবেশী দেশকে সাহায্য করেছে ভারত। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধুই পাকিস্তান। তারা পরিষ্কারভাবে তাদের দেশের পড়ুয়াদের জানিয়ে দিয়েছে কোনোভাবেই ফেরানো হবে না পাক পড়ুয়াদের। এই সিদ্ধান্তের পেছনে ইমরান সরকারের যুক্তি পাকিস্তানে করোনা সংক্রমণের চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই। তাই তাদের বক্তব্য চীনেই থাকুক পাক পড়ুয়ারা।

সম্প্রতি ভারতের ছাত্রছাত্রীদের দেশে ফেরা দেখে নিজের দেশের সরকারের কাছে সাহায্যের প্রার্থনায় কাকুতি মিনতি করতে দেখা গেছে চীনের একাধিক প্রান্তের বসবাসরত পাকিস্তানি ছাত্র-ছাত্রীদের। এমনই বেশ কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে এক পাকিস্তানি ছাত্র দেখাচ্ছেন যে ভারতের ছাত্র-ছাত্রীদের দেশে ফেরাতে উহান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষ বাসে করে এয়ারপোর্টের দিকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাকিস্তানি পড়ুয়ারা নিজের দেশের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের পড়ুয়াদেরও কিছুক্ষণের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, শুধু বাদ থেকে গেলাম আমরা পাকিস্তানিরা। আমরা যদি মরেও যাই আমাদের সরকার আমাদের ফেরাবে না। পাকিস্তানের সরকার আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত। ভারতের কাছে একটু অন্তত শিক্ষা নিক তারা।

কিন্তু এত কাকুতি-মিনতি, বিদ্রুপের পরেও নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি পাকিস্তান। চীনের পাক দূতাবাস থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দেশের চিকিৎসার পরিকাঠামোর অভাবে পাক পড়ুয়াদের ফেরানো হচ্ছে না। কয়েকজন পাক পড়ুয়া ওখানে খাবার সহ অন্যান্য দ্রব্যের অভাবের কথাতেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে মানবিক বার্তা দিল ভারত সরকার। করোনা আক্রান্ত চীনের উহান এবং হুবেই প্রদেশ আটকে থাকা পাকিস্তানি পড়ুয়া নাগরিকদের উদ্ধার করতে পাকিস্তানের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো মোদী সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *