ইন্ডিয়া জোটের গোপন এজেন্ডা সনাতন ধর্মকে ধ্বংস করা, দেশকে দাসত্বের দিকে ঠেলে দেওয়া: মোদী

আমাদের ভারত, ১৪ সেপ্টেম্বর: তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের ছেলে উদয়নিধি স্ট্যালিন মেঘ না চাইতেই বিজেপির হাতে জল এনে দিয়েছেন। সনাতন ধর্ম সম্পর্কে উদয়নিধির বিতর্কিত মন্তব্য এখন নরেন্দ্র মোদীদের ব্রহ্মাস্ত্র। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ সহ একাধিক বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বিতর্কের ঝড়কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে যে কোনো খামতি রাখবে না সেটা আজ মোদীর মন্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের বীনাতে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোট তৈরিই হয়েছে সনাতনের বিলুপ্তির উদ্দেশ্য জন্য। তাঁর কথায় এদের গোপন এজেন্ডাই হল ভারতের সনাতন সংস্কৃতিকে ধ্বংস করা। প্রধানমন্ত্রীও বলেন, বিরোধী জোট এই ব্যাপারে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। মোদীর কথায় ভারতের সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে ওরা শেষ করে দিতে চায়। দেশের বিভাজন চায়।

মোদীর দাবি সনাতন ধর্মকে শেষ করে ইন্ডিয়া জোট দেশে দাসত্ব ফেরাতে চায়। দেশকে ধ্বংস করতে চায় ইন্ডিয়া জোট। ভারতবর্ষকে আবার ঠেলে এক হাজার বছরের জন্য পিছিয়ে নিয়ে যেতে চায়। তিনি বলেন, “গান্ধী, লক্ষ্মীবাঈ সনাতন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন, কিন্তু এই অহংকারী জোটে নেতারা সনাতনকে ধ্বংস করতে চায়। তাই জোট বেঁধে এই ধরনের শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সংগঠন ঐক্যের শক্তি দিয়ে ওদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে হবে।”

কেন্দ্র বিরোধী জোটের অন্যতম শরিক ডিএমকে। সেই ডিএমকের অন্যতম নেতা স্ট্যালিন পুত্র সনাতন ধর্ম বিরোধী মন্তব্যকে হাতিয়ার করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি পদ্ম শিবির। জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের আগেই মোদী দলকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যোগ্য জবাব দিতে হবে। আর আজ সেই জবাব কিভাবে দিতে হয় তার উদাহরণ স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীরা যখন বারবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দেশের বহুত্ববাদ আক্রান্ত বলে সরব হয়েছেন ঠিক তখন মোদী বাহিনী উদয়নিধি স্ট্যালিনের মন্তব্যকে মনে করিয়ে দেশবাসীকে সাবধান করে বার্তা দিচ্ছেন কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকেদের হাতে যদি দেশকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে দেশের সংস্কৃতি যে বিপন্ন হয়ে পড়বে। আজ বীনা জেলার পেট্রোকেমিক্যাল প্রকল্প সহ মোট দশটি শিল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *