আমাদের ভারত, ১৯ মার্চ: রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন সময় সরব হতে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে। কিন্তু এবার তিনি দাবি করলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যর্থতার কারণেই রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা আজ সঙ্কটে। একটি বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে তিনি তাঁর বক্তব্যের স্বপক্ষে সরব হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন, ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষা সঙ্কটে। তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের ১,০০০-এরও বেশি কলেজ এবং ৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে NAAC- এর স্বীকৃতি নেই। এরজন্য তিনি রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন।
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে কেন্দ্রের উপযুক্ত সমর্থন রয়েছে। তা সত্ত্বেও তৃণমূল সরকার রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ব্যর্থতার অন্ধকারে নিমজ্জিত করছে?
পশ্চিমবঙ্গে ১,৫১৪টি কলেজ এবং ৫৮টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে মাত্র ৫১৪টি কলেজ এবং ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে NAAC -এর স্বীকৃতি রয়েছে। ১,০০০- এর বেশি কলেজ এবং ৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয় NAAC- এর অননুমোদন পায়নি। অথচ এই অনুমোদন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাগত মান, তহবিল এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুতর ভূমিকা পালন করে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য NAAC- এর স্বীকৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করে এই অনুমোদন। প্রতিষ্ঠানগুলিকে তহবিল এবং অনুদান নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। শিক্ষার্থীর সুযোগ এবং প্লেসমেন্ট উন্নত করে। NAAC- এর স্বীকৃতি ছাড়া, হাজার হাজার শিক্ষার্থী অসুবিধার মধ্যে পড়ে ভবিষ্যতে।
অথচ এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের যথাযথ সহোযোগিতা রয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, সরকারি কলেজগুলির জন্য NAAC- এর ফি মকুব করা হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে NAAC- এর স্বীকৃতি পেতে সহায়তা করতে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য একটি উচ্চ-স্তরের সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এরপর সুকান্তবাবু প্রশ্ন তুলেছেন, এতকিছুর পরেও রাজ্যের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ব্যর্থ? তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের অবহেলার কারণে পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়েছে। অথচ রাজ্যে শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট যোগ্যতা রয়েছে। উন্নত পরিকাঠামো এবং বিশ্বব্যাপী পড়াশোনা করার সুযোগ পাওয়ার যোগ্য তারা। তিনি রাজ্যের উচ্চ শিক্ষার এই অবস্থাকে জগাখিচুড়ি আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন।