আমাদের ভারত, ২৩ ডিসেম্বর:ভারত সরকার অক্সফোর্ডের করোনার টিকাকে আগামী সপ্তাহেই অনুমোদন দিতে পারে বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে জরুরী ভিত্তিতে টিকা ব্যবহারের সব প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। অক্সফোর্ডের করোনার টিকা ভারতে প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে বেশ কিছু অতিরিক্ত তথ্য চাওয়া হয়েছিল। সেই তথ্য ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছে সংস্থা। তাতে সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন প্রাথমিকভাবে সন্তুষ্ট বলেই জানা গেছে। আর তাতেই আশার আলো দেখতে শুরু করেছে দেশবাসী।
যদি এই টিকাকে সরকার সবুজ সংকেত দেয় তাহলে ভারতই হবে প্রথম দেশ যারা অক্সফোর্ডের টিকাকে অনুমোদন দিল। কারণ ব্রিটেনে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এখনো এই টিকার কার্যকারিতা এবং পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল যাচাই করছেন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে করোনার টিকা ব্রিটেনে তৈরি করছে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকা আর ভারতে এই টিকা তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। চলতি মাসের প্রথম দিকে দেশে মোট তিনটি সংস্থা সেরাম, ফাইজার, ভারত বায়োটেক তাদের টিকা জরুরী ভিত্তিতে গণ প্রয়োগের আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদনগুলি খতিয়ে দেখে অনুমোদনকারী সংস্থা সিডিএসসিও সংস্থা গুলির কাছে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আরোও বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠায়। জানা গেছে সিডিএস সিও সেরামের কর্মকর্তা ছাড়াও অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনের ব্রিটেনের আধিকারিক ও বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেছেন কেন্দ্রের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। আগামী সপ্তাহে এই টিকার অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
ব্রিটেন, ব্রাজিল সহ বেশ কয়েকটি দেশে অক্সফোর্ডের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে একটি ডোজ নিলে করোনার বিরুদ্ধে ৬২%সাফল্য পাওয়া গেছে। আর দুটি ডোজ অর্থাৎ কোর্স কমপ্লিট করলে সাফল্যের হার ৯০ শতাংশ। তাই ভারত সরকারও দুটো নিজের পথেই এগোচ্ছে। ভারতের মতো নাতিশীতোষ্ণ দেশে এই টিকা সংরক্ষণ ও পরিবহন সুবিধাজনকও। সাধারণ ফ্রিজের তাপমাত্রাতেই এই টিকা সংরক্ষণ করা যায়। এছাড়াও অন্য টিকার তুলনায় এই টিকার দাম কম।